১
আমার ভিতরে বহুদিন হল মায়েরা মরে গেছে
শুকিয়ে গিয়েছি আধেক আমি,
পিতারা জীবিত আছে
২
আমরা যখন ‘যাবো ‘ বলি তখন আসলে সম্ভাবনার কথা বলি।
তারপর, আমরা যেতে যেতে যেতে সম্ভাবনাগুলোকে একে একে হত্যা করি। হত্যা করতে করতে করতে আমরা যেতে থাকি।
অভীষ্টে পৌঁছালে দেখি পেছনে পড়ে আছে সম্ভাবনার লাশগণ।
আমরা যখন ‘যাবো না’ বলি তখন সম্ভাবনাগুলো নিয়ে প্রবেশ করি প্রতিবাস্তবে।
৩
করোটি খুঁড়ে দেখি কতোটা গভীরে রয়েছে
আলো ও আধাঁর
ওদিকে ঘুরছে পৃথিবী
দৌড়াচ্ছে পঙ্গপাল, পতঙ্গসম মানুষ
বাধ্যগত, বশংবদ;
আর আমি স্ব-ফলের মতো মেধা নিয়ে
গোঁয়ারের মতো বসে থাকব ।
৪
শব্দ তো বালখিল্য
স্নেহধন্য অনুজপ্রতিম;
কন্যাসমা;
ভালবেসে ফেলা প্রেম, স্নেহের মতন;
শব্দ তো মুক্ত বাজার অর্থনীতি,
দারুন দাবাড়ুর ছকে রাজনীতির ময়দান
আমি তো অযোগ্য প্রেমিক, নিঁখুত নাদান
আমি শুধু বহুবিধ শব্দের আত্নায়
লিখে রাখি মৃত প্রেমিকার নাম –
৫
একটা সুগোল বল যথার্থ স্থিতিস্থাপক
প্রতিবন্ধকতাহীন ভালবাসা
বুকের বাঁপাশে ড্রপ খেয়ে ওঠে
৬
ওরে নির্বোধ,
কোনকালে কেউ তোর মেরেছিল পোঁদ ?
৭
বাতাসে রৌদ্রের সুঘ্রান ছড়িয়ে
ছন্দময় সে; আসে ।
আর
একটা অলৌকিক দিন
সুখদ বৃষ্টিতে ভাসে ।
আহমেদুল হক কবির – কবি, প্রকৌশলী। গণিত, কবিতা আর
৯০ দশকের নস্টালজিয়া তার ভাল লাগার বিষয়।
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কবিতা, লিটল ম্যাগ
(লাস্টবেঞ্চ, দ, প্রতিভূ, বার্কিং ডগ, সময়কাল, প্রজন্ম ২০০০ ইত্যাদি)
আর কবি-পড়ুয়া-খ্যাপাটে বন্ধুদের লগে আড্ডা-ঝগড়া-স্বপ্ন দেখার
ঘোর লাগা দিনগুলি তাকে ভূতের লাহান তাড়া কইরা ফিরে।
– নয় নাম্বার বাসের হেল্পারগণ।