ফৃ স্কুলে ভোরবেলা
ফৃ স্কুলে ভোরবেলা কাগজগুলি দেখা যায়
আলো ফুটলে না
অন্ধকার ভোরবেলা, রাস্তার উপর অনেক ধরণের
ছেড়া ছেড়া, লম্বাটে
কীসের যেন
নীলচে
সুরুচি রেস্তোরা
ময়দা বেলার টেবিল পরিষ্কার হচ্ছে
আলো
যেন এখনই
খুব ভারী ও নিশ্চিত একটা কাশি দিলো পরোটার ছেলে
গম গম করে খুব ভারী
ও নিশ্চিত একটা সিএনজি
ফৃ স্কুলে এসে ঢোকে
* *
কাগজগুলি কোথাও যায় না
আবার নেমে আসে
ধূলার উপর
ফৃ স্কুলের যেখানে একটা যুবককে পায়চারি করতে দেখা যায়
ফরসা ও লম্বা
ইদানিং ওনার একটা ভুড়ি হয়েছে
উনি এই মাথা ওই মাথা করে
সারাদিন
কিছু করে না
নব্বই দশকে জ্বিনের আছর হবার পর থেকে
* *
এসব কথা প্রচলিত আছে হাতিরপুলে
কাগজগুলি কেবল
প্রচলিত অন্ধকারে দেখা যায়
আলো ফুটলে না
আরও অনেক কাগজ চলে আসে তখন
ফৃ স্কুলে তখন অন্যান্য মানুষরাও
এইমাথা ওইমাথা করে
অনেক দিন আগে জ্বিনে ধরা ফরসা যুবকের মতো
কিন্তু তাদের অন্যরকম মানে আছে যেহেতু
কেউ সেই ফরসা যুবকের মতো করে তাদের দেখে না
( ০৩ /০২ /২০১৫ )

[ মেসবা আলম অর্ঘ্যঃ কবি, প্রকৌশলী। ঢাকার পুলা, দেশের বাইরে থাকেন, বিদাশে। তয় বর্তমানে দেশে আইছেন অল্প কয়দিনের লিগা। ফৃ স্কুল স্ট্রিটেই আছেন। খাঁ খাঁ বইমেলায়, সোহরাওয়ার্দি পার্কে তারে পাইলেও পাইতে পারেন। প্রকাশিত গ্রন্থ-গ্রন্থিকা – ‘আমি কাল রাতে কোথাও যাই নাই ’, ‘তোমার বন্ধুরা বনে চলে গেছে ’ এবং ‘মেওয়াবনে গাণিতিক গাধা ’। – নয় নাম্বার বাসের হেল্পারগণ ]