১
মাঝরাতে আমার ব্যালকোনির সামনের দালানগুলোর আলো একে একে নিভে যেতে থাকে।তখনও কয়েকটি মাত্র জানালায় আলো জ্বলে। বিশ্বাস করেন ওগুলো আলো নয়। মনেহয় বেদনাহত মানুষের দুঃখ জ্বলতেছে। তবু আমরা আলোর বন্দনা করি আর অন্ধকারে সুখি মানুষেরা নাক ডাইক্কা ঘুমায়।
শালা আমার খালি মন পোড়ায় আলোজ্বলা জানালাগুলোর জন্য। ভালোবেসে ফেলতে ইচ্ছে করে ভীষণ। আমি আদর করে ওদের নাম দিছি “ভিসুভিয়াস”।
ওইটা আপনারও নাম হতে পারে।

২
কাহাদের জাগায়া রেখে
কাহারা ঘুমায়,
রাত্রি জাগিয়া থাকে।
তাহারা ঘুমায়।
তারারা ফুটিয়া উঠে
রাত্রি নামায়।
আমাদের জাগিয়ে রেখে
তাহারা ঘুমায় !!
তাহারা ঘুমায় !!!
৩
অন্ধকারের কোন ল্যান্ডস্কেপ নেই;
আছে শুধু,নারীর যৌনযন্ত্রের মতো ঘুটঘুটে মহাকাশ; জ্বলে থাকা
কতগুলো রোমহর্ষ পুরুষের মুখ—- অবিকল আমারই মতো।
আর আছে শহুরে মাংসের দোকানে গরুদের মতো অন্তিম অপেক্ষা………..
আর পুরুষালি জিভ।
এই শহরে নারীর কোন নিজস্ব ল্যান্ডস্কেপ নেই। পুরুষের আছে গোটা
দুনিয়া।
আদৌ কী মানুষের কোন ল্যান্ডস্কেপ আছে?
গোঁয়ারের গান
আমার গায়ে সালফারের গন্ধ
সাবধানে কাছে ঘেঁসবেন।
ফস্ করে জ্বলে উঠে
দপ্ করে নেভার মতো
আগুন নই আমি।
আমার দু’চোখে দু’দুটো
ভিসুভিয়াস পুষি ।
ওইটা দিয়া পোড়াইয়া বাঁশি বানাই
ইসরাফিলে বাজাইবো বইলা।
দোজখের ওমে পাইলা বড়
হইছি, ভালবাসার ডর আমারে
দেহায়েন না।

[রণজিৎ মজুমদার – স্কুল শিক্ষক, ফটোগ্রাফার। বাড়ি রংপুর। থাকেন মিরপুর। – নয় নাম্বার বাসের হেল্পারগণ ]