রোমান্টিক
অদ্য রজনীতে আমি রোমান্টিক।
আমি কমলা।
আমার নিও-ক্লাসিকাল ভরম কেটে যাচ্ছে। নিজের ভিতর গণতন্ত্র টের পাচ্ছি। আজিকে আমি আর বিগত ত্রিভুজে তব্ধা খাবো না। বিগত রুচিতে ফাল পাড়িবো না। আজি মোর গ্রিকো-রোমান ভুয়া। মাস্টারগো নকল ভুয়া।
গাছে গাছে ব্যক্তি ফুটিয়াছে… নতুন এক বিচিকলা ধরিয়াছে নতুন মরাল অভিমান অনুমান বিবদমান ন’ মানি আমি হাফ প্রকৃতি, হাফ মানুষ। ডাকো রাম ডাকো ডাকো ডেকোরাম খুলে দাও আমি রোমান্টিক… আমি পাবলিক… নিজস্ব একতা খুঁজিবো আজি শুদ্ধতার স্বৈরাচারমুক্ত বিপ্লব করিবো জঙ্গলে জাগিছো রুশো… রবিনসন ক্রুসো… আজিকে আমি হেগেলিয় নিশ্চয়তায় বন্দুক শিখিবো শিকারে যাইবো আমি বিপ্লব, আমি ফাউ ও ফিউডাল… টোটালিটারিয়ান… আমি তোমার রাবার বনে লিওপল্ড, আজিকে আমি ব্যক্তি। তব মাইকেল খাবো এঙ্গেলস খাবো উৎপাদনের হাতিয়ার খাবো আমি স্টেটিস্ট আমি চিত্তাকর্ষক রোমহর্ষক মহাকর্ষিত বেশিরঞ্জিত ইন ফ্যাক্ট প্রতীকবাদী বৈজ্ঞানিক অভিব্যক্তি আমি কিউবিক যথা লুসিট্যানিয়া।
আমি ডিপ্রেশন, আমি তোমার গুরুচীনে জাপানের ইনভেশন কিছুটা ভাববাদী… ম্যাজিক মাশরুম… বলপেন দিয়া বর্ডার দিবো, মরা চামড়া ভাগ করিবো বিছানায়
এইটা তোমার কলা
এইটা তোমার ডাব
এইটা তোমার না কইলাম…চুপ!
এইটা এনিমি
এইটা তোমার দেশ। খাড়াও, আমার কালি শেষ। আনতাসি।
অদ্যরজনীতে আমি কাল্পনিক। আমি লিন এবং মিন। গলফ অফ টংকিন। আমি মডার্ন। এমনকি একোয়ারিয়াম, বিছানায় স্যানাটরিয়াম, জন ন্যাশ ইকুইলিব্রিয়াম। আমি হিপি, ওঁম ওঁম ওঁম, বিট রেভল্যুশন, মে আটষট্টি, “ইলেকশন গরুদের ফাঁদ”, আমি তোমার ঊনসত্তর, আমি জয় বাংলা। কেন মোরা এইট্টিজ কিড! কেন যুদ্ধে গিয়া মরলাম না! হইলাম প্রি-তথ্য, পোস্ট-শীতল, পোস্ট-কলোনি, তো কী… লেট আস মেক আ টোস্ট… তুমি মোর খনি খনি তেল, তেল তেল শেল মানে ঝিনুক মানে বাপের ব্যাটা সাদ্দাম, তুমি নব্বইয়ের ফার্মগেট ব্রিজ থেইকা খুইলা পড়া বিলবোর্ড আমায় আদর করো আদর করো হিহিঃ।
তুমি হি-ম্যান এবং শি-ম্যান, আমি আইটি ম্যাডনেস, কিন্তু এক পুরাতন ম্যাট্রেস। আজিকে মোরা যাইবো কোথা হিহিঃ… এই দখিন হাওয়া লইয়া… গভীরে না ল্যাটারালে, মিনিং প্রডাকশনে, মিনি মিনি অর্থহীনে অদ্যরজনীতে হিহিঃ মোরা রোমান্টিক।
আমি একটি নিয়ন্ত্রণহীন রোবো। আমার ডাটাবেস ব্যাকাপ আছে, পরিবেশ ব্যাকাপ আছে, গ্রিন আছে, পার্ক আছে, থিম আছে, ফাইবারপটিক বিম আছে। দেহ মম জাগ্রত, বিমান মল্টেন, নারীরা গোল্ডেন, পুরুষরা নারীবাদী অদ্যরজনীতে আমি রোমান্টিক। নিজের ভিতর একটা নিরাপদ গণতন্ত্র টের পাইতেসি। গণতন্ত্রের ক্যাপিট্যাল, ক্যাপিট্যালের মানবতা, মানে নিজস্ব কোকিল, মানে আসো মোরা প্রেম করি প্রশ্ন ফাঁস করি ট্রলার ডুবাই কিস্ মি, মুই তব রাধা… তুঁহু মম শ্যাম…
অদ্য রজনীতে মোরা ভোট দিবো।
* * *
কিন্তু
ভোট দিবো কেন?
দিবো না।
দিলাম না…
না দেয়ার বিজ্ঞানে ভুগলাম
মহিমা লেপন করে…
কেন?
*
এখন আমাদের সংজ্ঞা
ছোট একটা ট্রাইব হবে…
আমরা কমলা দিবো ওকে… নরোম… একটা একটা কোয়া…
দুজন দুজনকে খুলবো
এমনকি চলনসই কোনো কৃষ্টি- আগে কেউ এর চেয়ে ভাল ছিল না
যে কোনো মেলার চাইতে আমরা পুরাতন
সুতরাং, নতুন…
আমাদের কোনো আঠা নাই
তোমার বাচ্চারা আমার জন্য সিলেবাস বানাবে…
আমি ওদের থেকে নীতি, দর্শন, কবিতা শিখবো…
ভালবেসে কমলা খাওয়াবো …
তুমি করুণ চোখে দেখবে
ওদের কমলা খাওয়াচ্ছি আমি
১৪/০৬/১৫

[ মেসবা আলম অর্ঘ্য : কবি, লেখক, প্রকৌশলী। ঢাকার পুলা, দেশের বাইরে থাকেন, বিদাশে। প্রকাশিত গ্রন্থ-গ্রন্থিকা – ‘আমি কাল রাতে কোথাও যাই নাই ’, ‘তোমার বন্ধুরা বনে চলে গেছে ’ এবং ‘মেওয়াবনে গাণিতিক গাধা ’। – নয় নাম্বার বাসের হেল্পারগণ ]