বিভাব হলুদে সুপ্ত মেশিনের দিন, তোমার গ্রীলে আমার চোখ কেটে বসে গেছে, পুরাতন বারান্দায় আলো। ভেজা প্রেমপত্রে এখন দেয়াল গোলাপি; পিঙ্ক পিঙ্ক রাতের বাতাসে। সংকীর্ণ রাস্তার দেয়াল জুড়ে গান থেকে তোমাকে লেখা যাক, অনুমিত ব্যালাডস; আমাদের স্বপ্নের ব্যখ্যাদাতা মুনিয়ার ঠোঁটে
আলো ভেদ করে পরিচিত শরীর, দরজার আড়াল করেছে হাসি। অন্ধ কক্ষে চব্বিশ সপ্তাহ; চোখের সামনে স্বস্তিকা জ্বলে উঠেছে দুইবার, ব্রোঞ্জের বাগানে টঙ্কার। র্যাবোর কানভাঙা মুখ, পাশে কাঠ চেরাইয়ের শব্দ নিয়ে ভেসে আছে। ট্রেনভ্রমণে আমার আঙুলেও স্বরলিপি ছিল, নাকি?
মেরুন চাদরে এই সাদা হাত, ঘুমন্ত, পড়ে আছে ভোরের মতো সাদা, কল খুলতেই এক রক্তের গন্ধ, এই কাঙ্ক্ষিত আড়াল, জলে আয়রন, ওহ গড! টিশার্টে আয়রনম্যান, টিশার্টে আগুন, মেডুলায় আগুন, শিরানীলাভ হাতে কী গরম শ্বাস, জানেমান? আমার রুমের উত্তরপূর্ব বাতাস আগুন, তামাকপোড়া দিন। পড়ন্ত রিকশার ছবি দেয়ালে গোলাপি খামের আলোতে শহর, হেডফোনে গুনগুন, হেডফোনে মোজার্ট; তোমার ডানহাতে পাশবালিশ শুয়ে আছে, মেশিনের লয়ে ঠুমরির গিমিকে গিমিকে, শান্ত চুমুর মতো…
কফিমগে শান্ত বুদ্বুদ ভেঙে ফেলার যত আনন্দ থাকে, কাছে টেনে নেয়ার ছায়াঅবয়ব জানুক সব। দরজায় শুকানো লক, আঙুলের সহাস্যে ভেজা। খুব হয়েছে বৃষ্টি; আইল্যান্ড ডুবে গিয়ে এক রাত্রি ভেসে আছে। ফায়ারপ্লেসের ধার ঘেঁষে মোমবাতির পরাভূত আলোতে পাতাদের কম্পন আর স্নেহাবৃত পোকাদের ঘুরপাক শিখি, সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা সব তো এক নয়, এসব ভুল ভেঙে সুর জুড়ে কী দরকার বলো পুনরায়! খুব হয়েছে বৃষ্টি কবরের উপর।
হারানো সুরের মতো আকাঙ্ক্ষার সহজ বাতাস- পানির নিপুণ ভিডিওগ্রাফিতে মুখের আদল তৈরি করেছে। সুতরাং, বিদায় জানেমান, এইতো শেষ! সবুজ দেয়াল ঘেঁষেওঁত পেতে থাকা গানফাইটার হাসি ছুঁড়ে দিচ্ছে, তোমাকে। তোমার ফ্রন্টক্যামেরার সকল সামর্থ্য আমি ভালোবাসি, তামাকপোড়া বাতাস ঠিকই পিঙ্কে আন্দোলিত- অন্ধকার ক্রমে যাইতেছে, উষ্ণ আর বিভাব হলুদে সাক্ষাৎ পুনর্বার- শঙ্কিত মেশিনের দিনে


[ আজমাঈন তূর হক – কবি, পাঠক। অহন পড়তাছেন রেসিডেন্সিয়ালে, এইচ এস সি দ্বিতীয় বর্ষে – নয় নাম্বার বাসের হেল্পারগণ ]