রকস্টার-১
***********
এই বায়ুপূর্ণ করোটি নিয়ে আমি ডেথমেটালের রাত্রি কাটাই, কপর্দকশূন্য মাতালের মত কুকুরেরা ঘোরে মর্গ এলাকায়, কর্কট রাশি প্রেমিকা তোমার অথচ জগতের সব এলিজিতে গর্জায় তোমারই গিটার, এল এম জি যেন, শেইম শেইম রকস্টার! কোথায় তোমার গ্র্যাস? অগ্নি গরল?কোথায় ফুসফুস? কোথায় গলা? চল, হেড ব্যাং করি- চুরমার করি ভিক্ষার গিটার। তুমি আমি ভিন্ন উদরজাত যমজ সহোদর,চলো গলা কাটা হাঁসের মত ইনফ্যাচুয়েটেড হয়ে কিছুদূর নড়বড়ে পায়ে হেঁটে চুলের মুঠি ধরে চুমু খাই ইতর জীবনের ঠোঁটে। সময় যে বহিয়া গেল, চলো রকস্টার!
রকস্টার-২
************
দেখো রকস্টার ওই বায়ুস্থিত ফড়িং সংগ্রহে এতকাল করেছি পার যেন ডাউনটাউনের কোন নির্জন বারে ব্ল্যাক লেবেলের সলিটারি পেগে সারারাত শুনে গেছি জ্যাজ আর নির্ণীত অসুখ ঘিরে তুলেছি গড়েমেটালের ফ্যাটাল প্রাচীর।
চামড়ায় জেঁকে বসা এই বোতাম তুলে নগ্ন হই চল- প্যারাবোলা সূর্যের আদলে। দেখো এই বিকল কম্পাস আমাদের নিয়ে যাবে বাদুড় গুহায় এইভাবে অনেক নিশুতি নিজস্ব ঝুলে থাকা নিয়ে আমরা ভেবে যাব নিজেদের ছায়ার ব্যাপারে। রকস্টার, ছায়ার প্রসঙ্গ এলেই আমার মনে পড়ে বৃদ্ধ অশ্বত্থের কথা-ভালবাসা শব্দটিই প্রাচীনতম সে বলে। দূরের ফ্ল্যাট থেকে ভেসে আসে র্যাপসোডি”, আমরা কেউ মহানুভবতাকে গোপন, স্বার্থপরতাকে স্বীকার করতে শিখিনি।” তাই এসো বৃক্ষের ছবি তুলি, রোপণ করবো পাওয়ার কর্ডের বুকে
রকস্টার-৩
************
আহত কুকুর দেখেছো কি রকস্টার?
সকলের বোধগম্যতার বাইরে কীভাবে
কাতরায় স্কিৎজোফ্রেনিকের মতো!
প্রতিটি সমাপ্তি মূলত হ্যালুসিনেশান
সেখানে ঈশ্বরই একমেবাদ্বিতীয়ম
সমাপ্তির পর কি লুলাবাই শোনা যায়?
যেভাবে প্ল্যাকিং করে অ্যামেচার
একটানা একঘেঁয়ে অথচ পরম মমতায়
মাতৃক্রোড়মুখো হইনি বহুরাত হল
গিটার বেচেটেচে চল এই বেলা লোকাল ধরি,
উপরে কোথাও না কোথাও বেঁচে
আছে মা-ইনসোমনিয়া কেটে যাবে।
রকস্টার-৪
***********
কী রিক্ততাসম তিক্ততা মনে করেছে ভর, যেন শঙ্খচূড় এক উড়েছে দূর কোন প্রান্তরে। মনে তো নেই আর মুখ সকল যারা করতো প্রেম,যারা সইতো ঘাত ঠোঁটে হাসি রেখে আর ব্যথা চেপে- বড় গহীন এক লাল অন্তরে। রকস্টার,তুমি দেখেছো কি ঐ লাল বাছুর? পিয়ানো রিড জুড়ে পাগলা ঝড় তোলা ক্ষ্যাপা বাদক যেন নাচছে খুব নিজ মা’র কোলে, ঐ জমিও নাই, নাই গোয়ালও আজ শুধু শূন্যতা আহা নেমেছে মোর দু’চোখ বেয়ে, এসো গ্রুন্জ তুলি যায় যাক যতোই ফ্রেডবোর্ড জ্বলে, মোরা এমনিতেই ভারি ফুসফুসে দূরে খুব বেশি যেতে পারবোনা। তাই ফেনিল হোক, দমক উঠুক রক্তবমির, বিদায়কালে।
রকস্টার-৫
************
রকস্টার, বিভ্রমে ভরা কাতেল জীবনে শুরু হল ত্রিশের খেলা। এই অর্ধেক আয়ুতে মনে হয় অপেরায় দীর্ঘায়ু কোন টেম্পোর অপেক্ষায় বসে আছি যেন। আস্তিনে লুকোনো পিস্তল, ট্রিগারে স্তনাগ্রস্পর্শপূর্ব আনকোরা হাত- মৃত্যুকে তাক করে আছে জীবনের দিকে। শুধু একটা টেম্পো আর, ডেথমেটালের রাতে থামিয়ে দেব সমস্ত মাইগ্রেন।
*****

[তানভীর হোসেন – জন্ম ১৯৮৫। কবিতা তার ডাক্তারি ক্যারিয়ারের
সিংহভাগ খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে। – নয় নাম্বার বাসের হেল্পারগণ ]