লুনা কান্দে না, সানি কান্দে না, ইফা কান্দে না – লুনা রুশদী

আজকে বাসায় আসছি একদম দড়ি দড়ি হয়ে, সন্ধ্যা সাতটার মধ্যেই চরম বিধ্বস্ত ঘুম। মনে হইতেছিলো জানি কয়েক বছর ধরে সমানে ইট ভাঙ্গার পরে একটু ব্রেক পাইছি। তেমন কোন কিছু যে করছি তা কিন্তু না। এখন রাত সাড়ে তিনটা, হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো। কেমন মনে হইতেছে আমি আর এই রাতটা পৃথিবীর বাইরের কোন কিছু, অনেক দূরের। শুধু আমার ল্যাপটপের প্রসেসরের একটা একটানা শব্দ আমার নিঃশ্বাসের সাথে মিশতেছে, আর সব নীরব। একটু শীত শীত আর অন্ধকারের মধ্যে মনিটরের হালকা নীল আলো। এই অন্ধকারটা আরামের, শীতটাও। জানালার বাইরে কিছু দেখা যায় না, কাচে লেগে থাকা কুয়াশা গতজন্মের স্মৃতির মতন মনে হয়।

আমরা যখন আমাদের ক্লডেল স্ট্রিটের পুরানো বাসাটায় থাকতাম তখনকার একটা রাত মনে পড়তেছে। আমি তখন ইয়ার টেন-এ পড়তাম। সেইদিনও কেন জানি ঘুম ভাংছিলো। আমি পানি খাওয়ার জন্য উঠে এসে দেখি রান্নাঘরে আম্মা মহা ধুমধামে রানতেছে। তার সব কাজ কারবারই আজব। রাত দুইটা তিনটায় ঘুম ভাংলে সে রান্না বান্না শুরু করে। আমি আইসা আলাপ শুরু করলাম। একটু পরে দেখি আব্বাও উঠে আসছে, তারপরে সানিয়া আর ইফাও। আম্মা যে কী রান্না করছিলো সেই দিন এখন মনে নাই, কিন্তু খুব মজার কিছুই হবে নিশ্চয়ই। আমরা সবাই মিলে সেই রাত তিনটার সময় ডাইনিং টেবিলের চারপাশে বসলাম। তখন ছোট্ট একটা গোল টেবিল ছিলো, সেই পিচ্চি টেবিলের চারপাশে আমরা অনেক কাছাকাছি থাকতাম।

10952889_10152581449116507_4044940958066288492_o
শিবলী লিভস ইন আওয়ার হার্ট

কথায় কথায় অন্ত্যাক্ষরী খেলা শুরু হলো। আম্মা আর আমার গানের স্টক ভালো। আব্বা চরম বেসুরা! কিন্তু তাই কী হইছে, এই সব ছোটখাটো সমস্যা আব্বারে কোন দিন দমায়া রাখতে পারে না! তার টার্ন যতবার আসলো উদ্ভট সব লাইন গাইতে থাকলো, সেই সব লিরিকও কোনদিন শুনি নাই আর সুর তো মাশাল্লাহ! যখন বললাম এইসব গানতো একটাও শুনিনাই। উত্তর হইলো, ‘এইটা তোদের জন্মের আগের গান’। আমরা গান আর কী গাইবো, হাসতে হাসতেই অবস্থা টাইট। সেই রাতে কেউ আমাদের জানালার বাইরে দাঁড়াইলে তার নিশ্চয়ই ভিতরের আমাদেরকে দেখে অনেক হিংসা লাগতো।

অন্য আরেক দিন আব্বা আমাদেরকে ভূতের গল্প বলতে বলতে এমন ভয় দেখাইলো যে আমরা কেউ আর নিজের ঘরে ঘুমাইতে যাওয়ার সাহস পাইলাম না। বসার ঘরের মেঝেতে কার্পেটের উপরে ঢালাও বিছানা করা হইলো সবার একসাথে। আমরা তিন বোন সারারাত ফিসফিস করতেছিলাম আর বালিশে মুখ ডুবায়ে হাসতেছিলাম, আব্বা আম্মা মাঝে মাঝে অল্প অল্প ধমক দিতে গিয়ে নিজেরাও হাসতেছিলো। সেই সব আবোল তাবোল হাসি আর টুকরা টুকরা কথায় ঘরের বাতাস ভরে উঠতেছিলো।

তারও অনেক আগে যখন বাংলাদেশে ছিলাম, কেজি অথবা ক্লাস ওয়ানে পড়তাম। আব্বা ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়াতো। আমি স্কুল থেকে ফিরে নানান অপকর্ম করে আম্মার বকা খাইতাম আর মনে মনে রিপোর্ট লিখতাম যে আব্বা ফিরলেই আম্মারে কয় রকম ভাবে ধরায়ে দেয়া হবে। আব্বা দুপুরে বাসায় আসতো কিছুক্ষণের জন্য। সিঁড়িতে পায়ের শব্দ শুনলেই আমরা তিনজন ধুপধাপ নিচে নামতাম আর সমানে নালিশ করতে করতে আম্মারে ভালো মতন ভিলেইন বানাইতে বানাইতে বাসায় আসতাম। আমাদের কথা টথা মন দিয়ে শোনার পরে আব্বা রায় দিতো, ‘ইশ! এতো খারাপ হয়ে গেছে তোদের মা! এই মহিলাকে আজকেই পান্তাভাত খাওয়ায়ে গলা পুড়ায়ে দিবো দাঁড়াও’।

আমরাও কিছুটা শান্তি পাইতাম যে এতদিনে একটা উচিৎ কাজ হবে। কিন্তু এত বড় হুমকি শুনেও আম্মা সমানে হাসতো জোরে জোরে। আমরা ভাবতাম, ‘এই ভিলেইন তো কঠিন জিনিস! এরে কি আর আব্বা একা শায়েস্তা করতে পারবে?’ তো এই রকম নানাবিধ ও বহুমুখী সংকটপূর্ণ চিন্তা ভাবনার মধ্যে আম্মা যখন তুচ্ছাতিতুচ্ছ লেখাপড়া অথবা খাওয়া দাওয়ার কথা বলতে বলতে বকা দিতো, আমাদের তো আর সহ্য হইতো না। মাঝে মাঝে কান্নাকাটিও শুরু করতাম। আব্বার বিখ্যাত গানটা ওইরকম সময়েই লেখা হইছিলো –

‘লুনা কান্দেনা
সানি কান্দেনা
ইফা কান্দেনা…
তাইলে কান্দে কে?
কান্দে লুনার মা
কান্দে সানির মা
কান্দে ইফার মা!’

এই চরম কান্না উদ্রেককারী গান শুনতে শুনতেও অবশ্য আম্মা শুধুই হাসতো। আর সাথে সাথে আমরাও।

1524756_10151762258721507_280591023_n
লুনা কান্দে না
1463027_10151762256041507_1037743499_n
সানি কান্দে না
1465333_10151762252971507_226580091_n
ইফা কান্দে না

আব্বার সাথে আমার প্রথম স্মৃতি বোধহয় আমাদের মিরপুরের বাড়িতে। সেই বাড়ির মেঝে ছিল লাল সিমেন্টের। আর ইটের বাউন্ডারি দেয়ালের অন্য পাশে একটা বিল ছিল। তখন আমার বয়স তিন। আর আব্বা আমাকে এক গ্লাস দুধ খাওয়াইতে গিয়ে হয়রান হইতেছিলো, চায়ের চামচে করে এক চামচ করে খাওয়ায় আর গল্প বলে। কী গল্প মনে নাই, তবু মুহূর্তটা মনে আছে, সেই সময়ের অনুভূতিও। আমাদের বারান্দায় গ্রিল ছিল এবং পাশের বাড়িতে একটা মেয়ে থাকতো যে আমার খুব বন্ধু ছিল – তার নাম মার্গারেট। মেয়েটার নাম ছাড়া অন্য কিছু মনে নাই আর এত দিনে। বন্ধুত্ব কত সহজ ছিল তখন আর ভুলে যাওয়াও অনায়াস। তখন আমি বাতাসের মতন ছিলাম!

ইউনিভার্সিটি কোয়াটার্সে থাকতাম যখন। আব্বার সাথে ভোরে হাঁটতে বের হতাম প্রায়ই। শীতের ভোরগুলি বেশি ভালো লাগতো। চারপাশ কেমন চুপচাপ থাকতো – কুয়াশা আর ধুলা মেশানো একটা ভোর ভোর গন্ধ ছিলো বাতাসে। আমাদের পাড়ার লোহার গেটটা বন্ধ থাকতো। একজন দাড়োয়ান ঢুলতে ঢুলতে একটা পুরানো শাল গায়ে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতো আমাদের দেখে। গেটের বাইরে অনেক কুকুর ভিড় করতো আর আমি তো জন্মের ভিতু। আব্বা সবসময় আমাকে আড়াল করে দাঁড়াতো। তার হাত ধরতাম, শীতের ভোরেও কেমন গরম গরম আর আরামের। আমরা রোকেয়া হলের সামনে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যাইতাম। হলের গেটের সামনে, দরজার ওই পাশে একটা শিউলি ফুলের গাছ ছিল। আর অন্য পাশে ইউনিভার্সিটির ভেতরেই একটা গন্ধরাজ ফুলের গাছ, রাস্তা থেকেও দেখা যাইতো। গন্ধরাজ কখন ফোটে? শীতকালে? একটা পিচ্চি মেয়ে ফুল বিক্রি করতো। তারে দেখতাম মাঝে মাঝে সেই ভোরে গাছের উপরে! ওর থেকে ফুলও কিনে দিলো আব্বা কতবার। ‘মডার্নব্রেড’-এর গাড়ি পার হয়ে যেত। আমরা সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে যাইতাম। আব্বা অনেক হাঁটতো আর খুব দ্রুত, মাঝে মাঝে আমার দৌড়াইতে হতো তাল রাখতে। আর কত্ত কথা হইতো তখন আমাদের। বেশিরভাগই আব্বা বলতো আর আমি শুনতাম – জওহরলাল নেহরুর বই glimpses of world history আসলে জেল খানায় বসে তার মেয়ে ইন্দিরাকে লেখা চিঠি, অমর্ত্য সেন একজন অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধদেব বসু এক সময় ঢাকায় থাকতেন, জীবনানন্দ দাশ বরিশালের মানুষ, মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডনে আব্বা আর বন্ধুরা মিলে ‘বাংলাদেশ’ নামে পত্রিকা বের করতো একটা, করোটিয়া কলেজ, আমার জন্ম, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল….

407591_10151091893561507_2113485376_n
লুনা, সানি,ইফার বাপ ও মা

যখন আব্বা অস্ট্রেলিয়া আসলো পি.এইচ.ডি করতে, আমরা তখন বাংলাদেশে। আমি ক্লাস টুতে পড়তাম মনে হয়, অন্যরা আরো ছোট। যেদিন চলে আসবে, একটা ক্যাসেটের একপাশে আমাদের তিনজনের জন্য কিছু কথা রেকর্ড করলো। আমি, সানিয়া, আম্মা আর দাদি ছিলাম রেকর্ডিং-এর সময়, ইফা সেই ঘরেই বিছানায় ঘুমাইতেছিলো। ওই ক্যাসেটটা আমরা এতবার শুনছি যে এখনো আব্বার সব কথা মুখস্থ বলতে পারি। মাঝে মাঝে আবার আমার আর সানিয়ার কথা আছে। আমি কী যে বিশাল ভাবে-আব্বাস মার্কা গলায় কথা বলছি! কবিতা সম্পর্কে প্রথম আমার আগ্রহ জন্মায় আব্বার ওই রেকর্ড শুনতে শুনতেই – ‘হায়রে হৃদয়, তোমার সঞ্চয়, দিনান্তে, নিশান্তে শুধু পথ প্রান্তে ফেলে যেতে হয়, নাই নাই নাই যে সময়!’ ‘আমরা যে কালো, তুমি ভালো জানো নহে তাহা অপরাধ!’ …এখনও লিখতে লিখতে লাইনগুলি মনে বাজতেছে, আব্বার কণ্ঠেই।

একবার বিশাল এক কাণ্ড হইলো । ওই দিনটা স্পষ্ট মনে আছে । কেউ যদি কখনও জানতে চায় আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিন কোনটা ছিলো, এই দিনটার কথা অবশ্যই বলবো। আমাদের ডাইনিং টেবিলটা তখন ছিল বারান্দার এক কোনায়। টেবিলের উল্টা দিকেই বাসার দরজা। দুপুর বেলায় সানিয়া ভাত খাইতেছে। ওর আবার কিছু স্পেশ্যাল ব্যাপার ছিল। যেমন তার প্লেট, গ্লাস শুধু আম্মা ধুয়ে দিতে পারবে। আর কারো ছোঁয়া কিছু খাবেনা। আর আমি তো হইলাম আমি! তো সানিয়া খুব আরাম করে বেগুন ভাজি দিয়ে ভাত খাইতেছে। আমি করলাম কি, ওর বেগুনের টুকরা ছুঁয়ে দিলাম। সে তো তুমুল কান্না শুরু করলো, এক হাতে আমার ক্রাইমের এভিডেন্স হিসাবে অর্ধেক খাওয়া এক টুকরা বেগুনভাজি, একটা পা চেয়ারে তোলা, চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তেছে আর বারে বারে একটাই কথা বলতেছে – ‘আমার বেগুন ভাজি… আমার বেগুন ভাজি’।আমি এক দৌড় দিয়ে বারান্দার মাঝখানে চলে আসছিলাম আগেই আর যদিও ভয়ে ছিলাম যে আম্মা এখনই খুন্তি-তাড়া করতে পারে, তবু সানিয়াকে ভেঙ্গানোর মজাটাও মিস করতে চাইতেছিলাম না। এই সময়ে কলিংবেল বাজলো। আম্মা রান্নাঘর থেকে হাত মুছতে মুছতে দরজা খুললো। আমি যেখানে দাঁড়ায়েছিলাম সেইখান থেকে দরজার ওই পাশ দেখা যাইতেছিলো না। আমি সানিয়ারেই দেখতে ছিলাম। বেল শুনে ওর কান্না থেমে গেছিলো, চোখের কোনে তখনো পানি। এক হাতে আহত বেগুনের টুকরা। আর মুখ ফিরালো দরোজার দিকে। তারপরই মুখভর্তি হয়ে গেল হাসিতে।আমার সাথে শত্রুতাও ভুলে ডেকে উঠলো – লুনাপা! আব্বা!

ইশ্‌! কী যে অবিশ্বাস্য রকম ইলেক্ট্রিফাইং মুহূর্ত ছিল সেটা। আমাদেরকে কোন খবর না দিয়েই আব্বা চইলা আসছে! শুনলাম এডেলেইডে আব্বার ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে পাকিস্তানে যাইতেছে একটা সেমিনারে। ঢাকায় ১০/১২ ঘণ্টার মতন স্টপ ওভার। এই অবসরে বাসায় আইসা পড়ছে। আবার সন্ধ্যায়ই যাইতে হবে। ব্যাগ থেকে বের হলো চকলেট, চিজ, খেলনা প্লেন, গাড়ি আর অদ্ভুত নামের একটা বই – the magic pudding। এইটা নাকি অষ্ট্রেলিয়ার সব বাচ্চারা পড়ে! না পড়লে জীবন বৃথা একদম। দুপুরে খাওয়ার পর আব্বা ঘর থেকে আমাদেরকে ডাকলো – ম্যাজিক পুডিং কে খাবি? আমরা তিনজনই ‘আমি, আমি, আমি, আমি’ করতে করতে গিয়ে আব্বার পাশে ঝাপায়ে পড়লাম। আর আব্বা আমাদের বই পড়ে শুনাইতে শুনাইতে অর্থ বলে দিতেছিলো। এখন আর গল্পটা মনে নাই। কিন্তু মনে আছে আব্বা ‘god sent’ শব্দটার বাংলা কী হবে ভাবছিল, আমি হঠাৎ বলছিলাম ‘দেবদূত’। আব্বা কী যে খুশি হইছিল আমার উপরে সেইদিন। এত কঠিন শব্দ বলতে পারার গর্বে আমিও এর পরের কয়েক দিন উইড়া উইড়া হাঁটছি।

সন্ধ্যা নামলো। আর আব্বারও যাওয়ার সময় হইলো। আমরা সবাই এসে দাঁড়াইলাম সিঁড়িঘরে। আব্বার চলে যাওয়া দেখতে। রাত হয়ে যাইতেছিলো স্তব্ধ, কান্না মেশানো।

তারপর কত বছর কাটতে থাকলো। আমার ছোট্ট দুনিয়াটা বড় হতে থাকলো আর আমরা ছড়িয়ে যেতে থাকলাম দূরে দূরে। কত রকম সম্পর্ক শুরু হলো, শেষ হলো, হারালো, ভুলে যাওয়া হলো, থেমে গেল। কত কাউকে মনে হলো জন্ম জন্মের পরিচিত, কাছের… যত দিন না বাড়তে থাকলো ব্যবধান, ভুল বোঝাবুঝি, যোগাযোগহীনতা আর অনেক অনেক না বলা। জানলাম ট্র্যাপিজ শেখার প্রয়োজনীয়তা, পুলসিরাত আসলে দুনিয়াতেই পার হওয়ার চেষ্টা করতে করতে কত বার যে পড়ে যাইতেছি আর ব্যথা পেয়ে ফিরে আসতেছি বাবা মায়ের কাছে। এখানেই শুধু আমি ভুলের পরে ভুল করতে পারি, ওরা তবু আমাকে ছেড়ে যায় না। এখনো অফিস থেকে ফিরতে একটু দেরি হইলে ওরা আশেপাশের দুনিয়ার সবাইরে ফোন করে জ্বালায়ে ফেলে যে ওদের নাদান মেয়েটা কই হারায়ে গেলো। বৃষ্টিতে ভিজতে থাকলে কান ধইরা ঘরে নিয়ে আসে। মাঝে মাঝে জ্বরের ঘোরে রাত দুইটার সময় হঠাৎ চোখ খুলে দেখি আব্বা আমার পায়ের পাতায় অলিভ অয়েল দিয়ে দিতেছে আর আম্মা কপালে ভিক্স…শীতের সকালে আমারে গরম কাপড় সাথে নেই নাই বলে বকতে বকতে স্টেশনে ড্রপ করে …ওদের মনেই থাকে না যে আমি একা একাও একদম অচেনা একটা শহরে বহুদিন ছিলাম। আমি চাই আব্বা আম্মা কোন দিন না বুঝুক যে আমি বড় হয়ে গেছি!

12208851_10153103703656507_9196251875428796499_n
লুনা, সানি, ইফাজ বাপ ও মা, পিলিং এগস, হুইচ ইজ আ সিরিয়াস বিজনেস

 


1535610_10151816181801507_1097190525_n

[ লুনা রুশদী – লেখক। বিদাশে থাকেন। নানান কামকীর্তি কইরা অহন দরবেশ-দশায় আছেন। সকল জীব-অজীবের প্রতি তার ভালবাসা। প্রকাশিত বই – এক, অরুন্ধতী রায়ের ‘দ্যা ব্রোকেন রিপাবলিক’ এর অনুবাদ-গ্রন্থ আর দুই, সাগুফতা শারমীন তানিয়ার সাথে যৌথ বই ‘আনবাড়ি'(যাতে উনার মানে লুনার অংশ একটি নভেলা)। – নয় নাম্বার বাসের হেল্পারগণ]

5 comments

  1. তুমি না থাকলে ফেসবুক এতো মিষ্টি হতো না, তুমি না থাকলে মেঘ করে যেত সত্যি, ফেবুতে বৃষ্টি হতো না। মাঝে মাঝে ভাবি, তখন এই মরুভূমি লইয়া কি করতাম!

    Liked by 1 person

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান