আ গান অফ রোজেস – রিলোডেড

ইন্ট্রো
অতিহলুদ বেডকাভারে মুখ গুঁজে রেখে কার কথা ভাবছো, রোদের গন্ধ মাথায় নিয়ে? ফেরিওয়ালা গান গেয়ে যাচ্ছে, কত চাবিসারাইয়ের কনসার্ট – একটা ট্যাক্সি এসে থামলো ঠিক দরজার সামনে, তুমি আগুন- তুমি মোম সামনে নিয়ে বসে থেকো না এখন। ক্বাসিদাগায়কের একটা শেষচিঠি আসলেই রং, ধনুক (ধুন)
সলো ১
একটা গোলমুখ কমলালেবুর পিছনে, প্রায় ভাঙা একটা মুখ- টেলিভিশনে
অপ্রকাশিত চ্যানেলেযেমন বস্তু ও স্থানকাল ভেঙে দেয় অজস্র সাদাকালো ট্যাবলেট।
পোড়াগন্ধ, চোখ বড় হয়ে যাচ্ছে;
মানে, আদিমতম পাতা
পিনিকহীন দুইজন
আক্যুরিয়ামে ঘুরছি এখন
ভারস ১
পারভারট কালভার্টে গান বন্ধ কইরা দাও চাঁদ
ভেঙে যা পড়ছে
গ্যালাক্সি
ময়/নয়
তুমি থাকলে ভাঙতো না...
সলো ২
যৌনমুখর অন্দরে-
‘শীত নামে কত নামে, অয়দিপাস
আহা- অন্ধ করে দিয়েছে সৌরভে
নির্নিমেষ বন্ধ কার কাছেচেয়ে এনে ধরেছে চিবুক?’
ভারস ২
মাইকে তিনবেলা ওয়াজমাহফিলে লোবানরক্তের স্বাদপছন্দ
দাঁড়কাকের দেহ, ডানার শব্দে তোমার এলাকার দরজা বন্ধ
ধোঁয়ার গন্ধের মিষ্টি দোটানে আমাকে ডাক দিলে সকাল সন্ধ্যা
একলা দরজায় আর বালিশের তুলোতে ঢেলে দাও রজনীগন্ধা
ফুলের গুল্মের শুভ্র সবুজে
ফুলের গুল্মের আবেশে অন্ধ
গোপন সিঁড়িঘরে অন্ধকার পেয়ে আমাকে ঢেকে দাও রজনীগন্ধা
পানি উপস্থিত তবুও চৌচির আমাকে ঢেলে দাও রজনী, রন্ধ্রা!

কোরাস
ঝালরভরা রাস্তাময়
হাঁটতে হলো সঙ্গীহীন
মাহফিলের সঙ্গী সব
জিকিরভর ধায় বাতাস
চৌকাঠপার নভোঝড়ের
উঠছে এক শান্ত রাত
রাস্তা এক ঝাড়বাতির
ঝালরময় রৌদ্রে চুর

আউটরো
বন্দরে বন্দরে রুমাল উড়ে যায়
লাল খুশবুদার বারান্দা থেকে
কাবাববর্ডারের চিপাগলি দিয়ে
চাপাতি হাতে পারভারট হেলানো
সিঁড়ি
কালরাতের
‘থামো না মিয়াভাই’

আ গান অফ রোজেস – প্রিকুয়েল
গান, গোলাপ
রেললাইনের অতি পুরাতন ধরনে বৃষ্টি এবং কুয়াশার পারস্পরিক বিভ্রান্তির মধ্যে ভূতপূর্ব সন্ধ্যা নেমে আসছে; বোমারুবিমানের শেষ স্পন্দন মনে রেখে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে যারা জেগে ছিল, যারা ভাবছিলো হাতধুয়ে ফেলা সাদা থালার কথা, তাদের শিশুরা মৃত এখন। তের বছরের রঙহীন ছেলে, পিস্তলহাতে আরবানদুঃখী চিপাগলি ধরে দৌড় দৌড়- হাসনাহেনা ঝুঁকে ঝুঁকে পড়ছে ধূলার উপর।
কড়া রিফ আর ড্রামরোলে, কথিত আর কল্পিত দুঃখের ডামাডোলে এখন হত্যাবাণী ছড়িয়ে দিয়েছে সবাই। একটু বসন্ত উড়িয়ে চলে গেলে, সরল ছন্দিত স্পন্দনে মেঘদল- আমাদের মনে পড়ছে… মনে পড়ছে দ্বিতীয়তলা, গড়ায়ে যাওয়া কান্নারেখা, আর মেঘ। রুকুদের তিনতলা থেকে ফেটে পড়া পাখি, গ্রেনেড-নিক্ষেপের পূর্বমুহূর্তে একটা চুম্বনদৃশ্য ইত্যাকার বিভিন্ন মেঘপ্রবাহ এই অঞ্চলে থাকে।
মনে থাকে, মানুষের বেঁচেথাকা-কাল। মনে আছো ইশারাসন্ধ্যার শতশত
পোলারয়েড গান
ম
নো
ট
নি
অন্ধকার সিঁড়িঘর, দেয়ালে ঝুঁকে পড়ে মানুষ দেখে দেখে অবিরাম মৈথুনের ইতিহাস . .

[ আজমাঈন তূর হক – কবি, পাঠক। বর্তমানে এইচ এস সি পরীক্ষা দিতেসেন, ফলে তিনি সকলের (মাফ ও)দোয়া প্রার্থী। – নয় নাম্বার বাসের হেল্পারগণ ]
Boss, salute. Sorry for writing in English. No Bengali keyboard in Fazlul Haque House’s PC. I had a dream to smoke with you one day. That may also make me a great writer.
LikeLike