বানর ও অন্যান্য – আল-বিরুনী প্রমিথ

বানর ও অন্যান্য

বহু বছর অতিক্রান্ত হবার পরে, একদিন দুপুরে, টিভি চ্যানেল ঘোরাতে ঘোরাতে, আচমকাই চিন্তাটা মাথায় চলে আসলে এবং মগজের চতুর্দিকে ঘুরতে শুরু করলে নীলা প্রথমে স্তম্ভিত হয়ে অতঃপর বিহ্বল হয়ে পড়ে। এই মুহূর্তে তার মাথায় যেই চিন্তাটা, যার আঙ্গিক এবং গতিপ্রকৃতি পুরোদস্তুর ভুতুড়ে খেলা করছে তার থেকে সে বের হবে কি করে? বের হতে হলে তার কি করা উচিত? সাব্বিরের সাথে ধারণাটা শেয়ার করবে? নাকি নিজের মনে ধারণাটা পুষে রেখে স্বাভাবিক কাজকর্ম যা যা করার করে যাবে?

প্রথম অপশনটাকে মগজ থেকে বের করে দিতে নীলার বিশেষ বেগ পোহাতে হলোনা। সাব্বির এমনিতেই তাকে নিয়ে সুযোগ পেলেই হাসিতামাশা করতে ছাড়েনা। ছোট বড় যে কোন ইস্যু পেলেই হলো। নীলাকে খুঁচিয়ে ছাড়বেই। যদিও সেই ব্যাঙ্গবিদ্রুপের মধ্যে পারস্পরিক অশ্রদ্ধার কোন স্পর্শ নীলা তার পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে কখনো খুঁজে পায়নি। সাব্বিরের চাকরিটা বড্ড এক্সহস্টিং। মনোটোনাসও বটে। বেশ রাত করে বাসায় ফিরে। নীলা সবসময় লক্ষ্য করেছে তারা যখনই একসাথে বসে টেলিভিশন দেখে সাব্বির সবসময়ই চ্যানেল খুঁজে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করে কোথায় কোন হাসির অনুষ্ঠান চলছে কিনা। কমেডি যে কোন কিছুই, হোক সেটা প্রোগ্রাম কিংবা মুভি এর বাইরে সাব্বির যাবেই না। প্রথম প্রথম বিরক্ত হলেও নীলা এখন বুঝতে পারে পেশাগত যাবতীয় জঞ্জাল থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ মুক্ত রাখবার জন্য এবং নিজের হিউমারবিহীন জীবনের ক্ষততে প্রলেপ দিতেই টেলিভিশনে হিউমার খুঁজে নেওয়ার তাড়নাটা সাব্বিরের এতো তীব্র। সময়ের সাথে সাথে নীলা নিজেও এই বিষয়টিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। আজকাল এই নিয়ে অনুযোগ করার প্রশ্ন তো উঠেইনা বরং একত্রে বসে টেলিভিশনে হাসির কোন অনুষ্ঠান না দেখলে সে নিজেও ভেতরে এক ধরণের শূন্যতা অনুভব করতে থাকে।

টানা বারোদিন ধরে বৃষ্টির পরে আজকে রোদ উঠেছে। এখন দুপুর বাজে দুইটা। মানুষজন যারা গতো কয়েকদিনের আবহাওয়া আজও অপরিবর্তিত থাকবে এই ভেবে নিয়ে বাইরে বেরিয়েছে তাদের কপালে ভোগান্তি আছে। চটচটে গরম, এক ফোঁটা বাতাস নেই, গ্লোবাল ওয়ার্মিঙের প্রকোপ প্রাত্যহিক নাগরিক জীবনে কি রকম বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে তারই এক ছোটোখাটো ডেমনস্ট্রেশন আজকের এই দমবন্ধকর আবহাওয়া। কিছু সময়ের জন্য এসিটা বন্ধ করে ফ্যান ছেড়ে দিয়েছিলো। ড্রইংরুম থেকে বেরিয়ে এসে কিচেনের দিকে যেতে যেতে নীলা অনুভব করে এই মুহূর্তে তার আসলে যা করা উচিত তা হলো বাথটাবে বরফের কুচি ছেড়ে দিয়ে চুপচাপ তার মাঝে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়া। বিশ্রী ধরণের গরম লাগছে। তার উপরে সদ্যই যেই চিন্তাটা তার মাথায় প্রবেশ করে ক্রমশই তাকে গ্রাস করে নিতে আরম্ভ করেছে তার থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? সাব্বিরের সাথে শেয়ার করার পরিকল্পনা শুরুতেই বাদ। দ্বিতীয় যেই অপশনটা অবশিষ্ট আছে তা হলো নিজের মনেই ধারণাটি পুষে রেখে প্রাত্যহিক কাজকর্ম যা যা করবার করে যাওয়া, নিজের জীবন এবং পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে বড় কোন ধরণের অভিযোগহীনতার যেই সুখী সুখী অর্থোডক্স সময় কাটিয়ে দেওয়ার চক্রের মাঝে সে আবর্তিত তাকেই স্মুথলি কন্টিনিউ করা। কিন্তু এটা কি এতোটাই সহজ? এটা অসম্ভব। নীলার ইনস্টিঙ্কট তার মগজে সেই অসম্ভবপরতার বার্তা পৌঁছে দেয়।

চিন্তাটা কী? বড্ড বিদঘুটে ধরণের। এই কিছুমাত্র আগে, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নীলা যখন একের পর এক ঘুরাচ্ছিলো তখন একটি দেশী টেলিভিশন চ্যানেলে এসে সে একটু স্থির হয়েছিলো। গতকাল রাতে গুলশানে এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বিশজন বিদেশী নিহত। যারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে আজকে পুলিশ অপারেশন চালিয়েছে। কালপ্রিটদের প্রত্যেকেই সেই অপারেশনে নিহত। জনমানসে বহুবিধ জল্পনাকল্পনার পরে জানা গেছে যে হত্যাকারীরা আইএসের বাংলাদেশী রিক্রুটমেন্ট। নিউজে রিপোর্টারের কথা শুনতে শুনতে নীলার হঠাৎই মনে হলো যখনই কোন বড় ধরণের রাজনৈতিক ঘটনা, যার প্রায় প্রতিটাই দুর্ঘটনা ঘটে সেদিনই র‌্যাংকিন স্ট্রিটের এপার্টমেন্টগুলাতে বানরের উৎপাত সহ্যক্ষমতার সকল মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।

গতোকাল, যেদিন গুলশানে এই ভয়াবহ হত্যাকান্ডটি ঘটলো সেই একই চিত্র। নীলার বিশ্ববিদ্যালয়ের বান্ধবী সোনিয়া, যে তার স্বামীসহ চারটা এপার্টমেন্ট পরেই থাকে তাদের বাড়ির বারান্দায় বানরের প্রকান্ড অত্যাচারে বারান্দায় রাখা ফুলের টবটি ভেঙ্গে খানখান। বানরেরা এতো উপরে উঠে প্রধানত ইলেকট্রিক পোল বেয়ে বেয়ে। যেই বানরগুলো সোনিয়ার বারান্দা দিয়ে প্রবেশ করে টব ভেঙ্গে এমনকি নিজেদের আরো প্রসারিত করে ডাইনিং টেবিলে ঢেকে রাখা খাওয়া পর্যন্ত নষ্ট করে মনের আনন্দে ফিরে গেছে। সোনিয়া যখন নীলাকে ফোন করে সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানালো তখন বাজে দুপুর তিনটা। রাত নয়টার সময়তেই প্রতিটি টিভি চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ দেখাতে শুরু করেছিলো। গুলশানের ঘটনাটি পরিস্থিতি এতোটাই গুমোট করে দিয়েছিলো যে সাব্বির বহু বহু সময়কাল পরে এই প্রথম টেলিভিশনে হাসির কিছু খুঁজবার পরিবর্তে থমথমে মুখে প্রতিটি চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নিউজ দেখছিলো। এমনকি একই নিউজ একাধিকবার দেখছিলো। নীলা খাওয়ার টেবিল গুছিয়ে তাকে খেতে আসতে বলার পরে তুমুল অনিচ্ছায় ডাইনিং টেবিলে এসে অল্প একটুকু খেয়ে নিয়ে ফের টেলিভিশন চ্যানেলে নিউজ দেখতে বসে গিয়েছিলো।

নীলা একে একে হিসাব করে দেখলো গত দুই বছরে বাংলাদেশে যতোগুলো বড় বড় লেভেলের রাজনৈতিক ডিজাস্টার ঘটেছে তার প্রতিটার সময়তেই বানরের উৎপাতে র‌্যাঙকিন স্ট্রিটে সে কিংবা তার পরিচিত কেউ না কেউ ভিকটিম হয়েছে। রামুতে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের দিন রুমা আপা, তাজরীন গার্মেন্টসে হত্যাকাণ্ডের দিন শীলা ভাবি, রানা প্লাজার হত্যাকাণ্ডের দিন নীলার প্রাক্তন অফিসের কলিগ রেজাউল সাহেব, প্রথম যেই ব্লগার রিলিজিয়াস ফ্যানাটিকদের চাপাতির কোপে নিহত হলো সেইদিন সে নিজে, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের মওলানা যেদিন খুন হলেন সেদিন আগের এপার্টমেন্টের সোমা ভাবি এভাবে একের পর এক রাজনৈতিক ডিজাস্টার ঘটেছে আর কারো না কারো বাসায় বানরে ঢুকে তাণ্ডবলীলা চালিয়ে গেছে। নীলার মগজে একের পর এক ঘটনা রিওয়াইন্ড করে গেলে সে দেখতে পায় প্রতিটা ঘটনাই ঘটেছে সংশ্লিষ্ট দুর্ঘটনাগুলো সংঘটিত হবার দিনেই। অর্থাৎ দিনেই হোক কিংবা রাতেরবেলাতেই হোক যখনই সেইসব অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে সেদিনই র‌্যাংকিন স্ট্রিটের কারো না কারো বাড়িতে তাণ্ডবলীলা চলে। এর কোন মাফ নেই। এমন নয় যে বানরেরা নিরুপদ্রবে এসে ভিকটিমদের বাসায় তাণ্ডব চালিয়ে প্রতিবারই নিশ্ছিদ্রে নিজেদের নিড়ে ফিরে যেতে পারে। নাহ, এমনটা সবসময় ঘটেনা। যাদের সাথেই এমনটা ঘটেছে তারা সাথে সাথেই রিএক্টিভ হয়ে নিজ নিজ বারান্দায় জালি লাগিয়ে নিয়েছে যেনো বানরদের সেই জোরপূর্বক  অনুপ্রবেশ তাদের বাড়িতে দ্বিতীয়বার আর না ঘটে। নীলা নিজেও তাই করেছে। সাব্বির এমনিতে যথেষ্টই অলস প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু বানরের সেই উৎপাতের ঘটনাটা তাকেও এতোটা ক্ষুব্ধ করেছিলো যে পরেরদিনই সে বাজারে গিয়ে জালি কিনে অতঃপর লোকজন দিয়ে সেটা শক্ত করে বারান্দায় লাগিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া বর্ষাকাল আসলে যখন প্রবল বৃষ্টিপাত হয় কিংবা বৈশাখ মাসে যখন কালবৈশাখী ঝড় হয় তখন বজ্রপাতের সময়ে ইলেকট্রিক পোলে তড়িৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রচুর বানরের মৃত্যুও ঘটেছে। কিন্তু যেই চিন্তাটা নীলার মগজে আবির্ভূত হয়ে ঠাঁই নিয়ে নিলো, যার যৌক্তিক কোন ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষমতা সিংহভাগ মানুষই রাখেনা এমন কিম্ভূতকিমাকার একটি চিন্তা একান্তই গোপনে বয়ে বেড়িয়ে নীলা কিভাবে স্বাভাবিক থাকতে পারবে? এই বিষয়টি কোন প্রেডিকশন কিংবা ভূতভবিষ্যৎ বলার মতো গায়েবী কিছু নয়। এটা একটা ফ্যাক্ট, যা অনস্বীকার্য। যারাই বানরের তাণ্ডবে নিজেদের ঘরকে বিপদে পড়তে দেখেছে নীলা যদি তাদের কাউকেও তার এই ভাবনার কথা বলতে যায় তাহলে সেই মানুষরাও কি নীলাকে পাগল বলে সাব্যস্ত করবেনা? করে থাকলে তাদেরকে দোষ দিতে যাওয়াটাও আরেক ধরণের অযৌক্তিক আচরণ হবে। বিজ্ঞানের হাজারো রকমের উন্নতির পরেও জগতে এখনো তো কাকতালীয় ঘটনা কতোই ঘটে। তাতেই যদি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের ব্যাঘাত ঘটে তবে মানুষ বাঁচবে কিভাবে? অবশেষে, এইসকল প্রশ্নের উদ্ভবে ক্রমশ নিজেকে একটু ধাতস্থ করে নিতে পারছে ভেবে নীলা স্বস্তি অনুভব করে।

কিন্তু রাতেরবেলায় ডাইনিং টেবিলে সাব্বিরকে খাবার পরিবেশন করতে করতে পুনরায় দুপুরের সেই অস্বস্তিকর ভাবনা নীলাকে আচ্ছন্ন করে ফেললে সাব্বির তাকে প্রশ্ন করে বসে “তোমার আজকে কি হয়েছে বলোতো? আমি টেবিলে বসার পর থেকেই দেখছি তুমি এবসেন্ট মাইন্ডেড। হোয়াটস রঙ উইথ ইউ?”

নীলা নিরুত্তর।

সাব্বিরের একটি উল্লেখযোগ্য গুণ আছে। উল্লেখযোগ্য অন্ততপক্ষে নীলার কাছে। আর আট দশজন গড়পড়তা হাজবেন্ডের মতো স্ত্রীকে কোনকিছু নিয়ে ইনডিফারেন্ট কিংবা আপসেট দেখলে স্পাউজকে তা জানানোর জন্য পীড়াপীড়ি করেনা। এবারেও তার ব্যতিক্রম হলোনা। সে ধীরস্থির ভাবে নিজের খাওয়া শেষ করলো। তারপর হাত ধুতে ধুতে মৃদুস্বরে স্ত্রীকে বললো যদি সিরিয়াস কিছু ঘটে থাকে তবে সময় নিয়ে হলেও তাকে জানাতে। সে অপেক্ষা করবে। নীলা বিলক্ষণ জানে এই বিষয়ে সাব্বিরের এটাই শেষ কথা। সে কোনভাবেই নীলাকে জোর করবেনা কি ঘটেছে সেটা জানতে।

এভাবে বেশ কিছু দিন অনাড়ম্বরে এবং গতানুগতিকভাবেই কেটে যায়। এমনকি যতোগুলো দিন সাধারণভাবে অতিক্রান্ত হয়ে গেলে সেই ভাবনাটা নীলার মগজে আর ধারাবাহিকভাবে বাড়ি দেওয়ার ক্ষমতাটুকু পর্যন্ত রাখেনা সেই সময়টুকু পর্যন্ত ঘটনাবিহীন পার হয়ে যায়। নীলা ফের আগের মতোই স্বাচ্ছন্দ্য। নিজের জীবন এবং পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে বড় কোন ধরণের অভিযোগহীনতার সুখী সুখী অর্থোডক্স জীবনপ্রবাহ ফের সচল।

দুপুরে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলো নীলা বলতে পারেনা। গতকাল রাতে সঙ্গম শেষে ঘুমিয়ে পড়ার আগে সাব্বির তাকে পুনরায় মনে করিয়ে দিয়েছিলো আজকে অফিস থেকে একটু আর্লিই ঘরে ফিরবে। তারা অনেকদিন কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়াদাওয়া করেনা। তাছাড়া অফিস থেকে সাব্বিরের প্রচুর ছুটি পাওনা আছে। ঢাকার বাইরে তারা কোথাও ঘুরে আসবে এমন চিন্তাও নাকি কয়েকদিন ধরে তার মাথায় খেলছে। নীলা বেশ খুশী হয়েছিলো শুনে। সকালে এমনকি অফিসে পৌঁছাবার পরে সাব্বিরকে ফোন করে পুনরায় কনফার্মড হয়েছে যে আজকে তারা কোন রেস্টুরেন্টে একসাথে খেতে যাবে। তাই সে রান্নাবান্না কিছু পর্যন্ত করেনি। কিন্তু পত্রিকা পড়তে পড়তে বোর ফিল করলে সে ভেবেছিলো বিছানায় একটু এলিয়ে নেবে। দুপুরে সচরাচর তার সাউন্ডস্লিপ হয়না। সাব্বির কলিংবেল বাজালে নিশ্চিত সে শুনতে পাবে।

কিন্তু তার যখন ঘুম ভাঙ্গলো তখন সে দেখতে পেলো কিভাবে কিভাবে সাব্বির দরজা খুলে তার অফিসব্যাগটা বিছানার একপাশে রেখে অস্থিরচিত্তে অনর্গল কথা বলে যেতে লাগলো। সাব্বির কি বলতে চাইছে বুঝতে নীলা একটু সময় নিলো। ততোমধ্যে সাব্বিরের কন্ঠস্বর অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছে। তার স্বামীর অফিসের উল্টাদিকে যেই প্রাইভেট ব্যাংকটি আছে সেখানে নাকি আজকে ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা ব্যাংক থেকে টাকাপয়সা তো নিয়েছেই যাবার সময়ে নাকি র‌্যান্ডমলি তিনজনকে গুলি করে হত্যাও করেছে।

সাব্বিরের সকল কথা শুনে নীলা কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়না। স্বামীকে বিস্মিত করে ভাবলেশহীন মুখে বারান্দার দিকে এগিয়ে গিয়ে সবুজ রঙের যেই শক্ত জালিগুলো দিয়ে বানরগুলো থেকে বারান্দাকে সুরক্ষিত করা হয়েছে সেগুলোকে স্পর্শ করতে করতে নীলা সাব্বিরের উদ্দেশ্যে বলে উঠে “তুমি যেই জালিগুলা কিনে এনেছিলে সেগুলা খুবই ভালো। তিন বছর আগে লোক দিয়ে লাগিয়েছিলে। তার পরে আর একদিনও আমাদের ঘরে বানরগুলা ঢুকতে পারেনি।”

767px-Gabriel_Cornelius_von_Max,_1840-1915,_Monkeys_as_Judges_of_Art,_1889
“মাঙ্কিজ এজ জাজেস অফ আর্ট” – গ্যাব্রিয়েল ভন ম্যাক্স ; প্রাপ্তিসূত্র – https://en.wikipedia.org/wiki/File:Gabriel_Cornelius_von_Max,_1840-1915,_Monkeys_as_Judges_of_Art,_1889.jpg

 

DSC_0177

[আল-বিরুনী প্রমিথ – গল্পকার। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ : ‘এসকেপিস্ট ‘, ‘এপিটাফ’। ]

মন্তব্য করুন

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  পরিবর্তন )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  পরিবর্তন )

Connecting to %s