“… & there is nothing more unaesthetic than a policeman.” (as said Thaddeus Sholto in Arthur Conan Doyle’s ‘The Sign of Four’)
হ, কইবার পারেন, এইডা কোনান ডয়েলের ভিউ না। মানে, ধরেন মার্টিন স্করসেসে’র সিনেমায় ডিপজল কইলেন, “পুত কইরা দিলে তোরা ধ্বংস হয়া যাবি” – আপনে তো এইডা স্করসেসে’র কোট হিসাবে ইউজ করবার পারেন না, ইত্যাদি। কিন্তু এইডা, যতদূর মনে পড়ে কুনু খল চরিত্রের ডায়লগ আছিল না ‘দ্যা সাইন অফ ফোর’-এ।
দেহেন, স্বয়ং শার্লোকেই কইতেসে, “I would rather have Toby’s help than that of the whole detective force of London.” (as said Sherlock Holmes in A C Doyle’s ‘The Sign of Four’) লন্ডনের হাজার-লাখ সরকারী আশৃরবা’র গোয়েন্দা ফোর্সের চায়া শার্লোক টবি’র যোগ্যতারে গুরুত্ব দেন। যারা পড়েন নাই, তাগো লাইগা কই, তাইলে বুজবেন, কী খাড়াইল। টবি, একখান কুত্তার নাম। বুজলেন? ওয়ান ডগ ইজ গ্রেটার দ্যান অল দ্যা…।

যাউকগা। আপাত অপ্রাসঙ্গিক একটা কতা কই। ডাইরিত লিখা রাখসিলাম শার্লোক টিবি শিরিশ পত্থম দেহার সমকা। লিখসিলাম – শার্লোক সিরিজে মোফাট ভিক্টোরিয়ান পটভূমিরে পোস্ট মডার্ন পটভূমি দ্বারা রিপ্লেস করসেন কী সার্থক ভাবে! কী পটুতা দেখাইসেন! ঘোড়ার গাড়িময় শ দেড়েক বছর আগের কাহিনীরে স্থাপন করসেন ইন্টারনেট-মফিলের দুনিয়ায়। তো, একটা ক্ষেত্রে তার কামডা সহজ হয়া গেসে। ১৮৮৭(‘এ স্টাডি ইন স্কারলেট’ প্রকাশের বছর)তে জন ওয়াটসন কেবল-আফগানিস্তান-ফেরতা-ব্রিটিশ-সৈনিক। আর এই সময়ের মোফাটের সিরিজেও ওয়াটসন কেবল-আফগানিস্তান-ফেরতা-ব্রিটিশ-সৈনিক। ১২০+ বছরেও, উপনিবেশবাদ সেই কবে ডায়নোসরের লাহান বিলুপ্ত হইলেও ব্রিটিশ সৈন্যগো পিরথিমির ভালুর লাইগা (আগের মতই) আফগানিস্তান যাওয়া লাগে।
যাউকগা, ব্যাক টু আশৃরবা। ফেলুদা বা তিন গোয়েন্দাত যুদিও আ ‘হেলদি রেস্পেক্ট টু দ্যা পুলিস’(কার্টেসি, লেনার্ড হফস্টেডার) পাই আমরা, তার পরেও, গোয়েন্দা কাহিনী তার অস্তিত্বের গোড়াতেই হয়তো এন্টি-এস্টাবলিশমেন্ট। এর অস্তিত্বের প্রথম সাদামাটা মানেই হল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইজ নট এনাফ। তারা পারতেসে না। গোয়েন্দা কাহিনী মাত্রেই ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না’র বিরোধী। আশৃরবা বাহিনীরে রিডিকিউল/ছোট/ব্যর্থ-প্রতিপন্ন কইরাই গোয়েন্দা আগায় ও সফল হয়। মিন্স –
গোয়েন্দার পারা = আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর না পারা।
আমারে অবশ্যই পিয় একখান গানের প্রসঙ্গ কইতে হবে, রেইজ এগেইন্সট দ্যা মেশিনের ‘কিলিং ইন দ্যা নেইম অফ’। “সাম অফ দোজ, দ্যাট ওয়ারক ফোর্সেস, আর দ্যা সেইম দ্যাট বার্ন ক্রসেস”, “ফাক ইউ, আই ওন্ট ডু হোয়াট ইউ টেল মি”। ধুর্বাল। এই লিরিক দিয়া গানের আলোচনার ভোদাইগিরি আর কত করুম? এই গানের গাইলডি, ভোকালের কণ্ঠের রাগ-ঘেন্না, মিউজিকের ক্ষোভের ল্যাঙ্গুয়েজ, লাইভের শ্রোতাদের এক্সপ্রেশন সব মিলায়া এই জিনিস খাড়ায়। ‘বি ওয়াই ও বি’ আর ‘দে ডোন্ট কেয়ার এবাউট আজ’ মাথায় বাজতেসে পালা করে। এমজে’র কণ্ঠ বাজতেসে – “I’ve been the victim of police brutality ”। আরো মেলা গানের কথা মাথাত আইতেসে। যামু না অই দিক।
আমু ভালোবাসার লেখক জে কে রলিং এর ধারে। পটার পড়সেন বা দেখসেন, ডিমেন্টরগো কথা মাথাত আছে না? “Dementors are among the foulest creatures that walk this earth. They infest the darkest, filthiest places, they glory in decay and despair, they drain peace, hope, and happiness out of the air around them… Get too near a Dementor and every good feeling, every happy memory will be sucked out of you.” হালার হালা তূর, পটার লয়, ফেরত দেয়ার নাম নাই। কোট দিতে পারতেসি না ঠিক মত।
আমি জানি না রলিং-এ এইডা ভাইবা লিখসেন কি না, কিন্তু, টু মি, এজ আ রিডার, ডিমেন্টররা প্রথমত ক্যাডা?-তারা কারারক্ষী, আজকাবান প্রিজনের কারারক্ষী, তাদের কাজ অপরাধী-বন্দীদের পাহারা দেয়া, চোদ্দটা বাজানো আর কেউ পলাইলে ধইরা আনা। সো, কী খাড়াইলো? আমার ধারে পরিষ্কার আশৃরবার মেটাফোর। আমাগো হেডু ডাম্বলডোর তাগোরে দেখতে পারেন না, তাদের হগওয়ার্টস তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশকে সর্ব শক্তি দিয়ে ঠেকাতে চান, যদিও তারা অপরাধী(সিরিয়াস ব্ল্যাক) খুঁজতেই আইসে, পাঠাইসে স্বয়ং

মন্ত্রণালয়, মিনিস্ট্রি অফ ম্যাজিক। ডাম্বলডোর, পিস বি আপন হিম, ডিডেন্ট লেট দেম ইন। ডাম্বল্ডোর তাগোরে বিশ্বাস কত্তেন না, ঘেন্না করতেন। এবং শেষে দেখি তার অনুমান ভুল হয় না। ডার্ক লর্ড ভল্ডামর্টের পক্ষের শক্তি হয়া উঠে ডিমেন্টররা। পলকেই পল্টি। এ ব্যাপার আমরা বাংলার ইতিহাসে কতই না দেখে আসতেসি। নাহ, খালি অই ডিউরিং-এন্ড-পোস্ট-৭৫ এর দিক তাকানোর দরকার নাই তো। আগে যান। মেলা আগেও যাইবার পারেন। সর্বাধিক সেলিব্রিটি সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ ছিলেন একজন সেনাপতি, আশৃরবা। তার আরেকটু আগে যাই, মালিক আন্দিল তথা সৈফ উদ্দিন ফিরোজ শাহ, তিনিও সেনাপতি ছিলেন। আছিলেন সেনাপতি, হইলেন সুলতান। বাই দ্যা ওয়ে, এই দুই সুলতানের অনেক ব্যাপার আমি কিন্তু লাইক করি।
তয় যে বিষয় লয়া আলাপ কত্তেসি, অবশ্যই যা আনা উচিৎ, তা ‘হিমু’। নো ওয়ান এলস রিডিকিউল্ড আশৃরবা (ইন কোয়ান্টিটি এট লিস্ট, ইফ ইউ রিডিকিউল হিজ কোয়ালিটি) মোরা দ্যান হুমায়ূন আহমেদ, (পার্টিকুলারলি ইন ‘হিমু’)। আমি কুইত্থা-পাইদ্দা ডয়েল থেইকা যে দুই লাইন বাইর করসি – আমার শেলফে রাখা সারি সারি হিমুতে এই লাহান বা এর চায়াও স্ল্যাপ্সটিক লাইন দাগানি আছে যে পরিমাণ, তাতে ৫০ পৃষ্ঠা মিনিমাম লিখতে হবে আমাকে। হুমায়ূন আহমেদ তার নিজের কিছু প্রতিক্রিয়াশীল-ক্ষতিকর দৃষ্টিভঙ্গী ২/১ টা জাগাত চাপায়া দিছেন হিমুর উপ্রে। আদার দ্যান দ্যাট, হিমুরে আমি ভালো পাই। হিমুর আলাপ অন্যত্র করব, এখানে তাও টানলাম একটা ছোট্ট ব্যাপারে, যা উপসংহারে লিখব। তখন আমাকে কবিকঙ্কণ মুকুন্দের কাছেও যেতে হবে।
ব্যক্তিগত আলাপে আহি।
আশৃরবা। তাগো লগে আমার ঝামেলা ম্যালা দিনের। সেই পিচ্চিকাল থিকা। নাহ, টিনেজ থিকা। কারণ সুডুকালে আমি টেরিফিক পুলিশের কুলে উইডা গেসিলাম দিনাজপুরে। ঐ যে মথরেও পরজাপতি মনে হয় যেই কালে। বা বাপের কিন্যা দেয়া আশৃরবার ইউনিফর্ম আমার কী পছন্দের আছলো, তা আমি জানি।
যাউকগা, আসল কতায় আহি ইন্সিডেন্ট-১ – ধনমুন্ডি এলাকাত। ওয়ান ওয়ে করসে কেবল। কিছু রাস্তা। রিকশাওলা বা গাড়িওলা কেউ-ই পুরা অভ্যস্ত হয়া হারে নাই। সো আমারে বহনকারী রিকশাচালক ঢুকসে একটাত উল্ডা দিক দিয়া। মাথাত যেই পৌঁছাইসে খাড়াইন্যা টেরিফিক সারজেনে দিসে রাম বাড়ি। রিকশাওলাগো এডি গায়ে লাগে না। কত্ত খায়। খায়া এট্টু পরেই হাইসা দিতে দেখসি। কত্ত মিষ্টি মাইর খাতি দেখসি তাগোরে। একবার দেখসিলাম কিছু রেব ব্রোজ এক রিকশাওলারে মাটিত হালায় ভুট জোতা দিয়া লাইথ্যাইতেসেন ভালোবাইসা। যাউকগা। আমার রিকশাচালক বাড়িডা খায়া ধাপ কইরা মাটিত বয়া পড়ল আর হাউ মাউ কান্না। অহিংস প্রতিবাদ টাইপ। হ্যাতের মুড মেইবি আগের থে অফ আছিল, ছ্যাঁকা-উকা খাইছে মেইবি, এই বাড়িত ট্রিগার করসে। আমি “আইনশৃঙ্খলা” “রক্ষাকারী” শারজেনরে কইলাম, বাই, এইডা কী হইলো, আপনেরা এই মাথাত না খাড়ায়া অই মাথাত খাড়াইতেন, তাইলে বুজা ইজি হয় না যে এই রোডে ঢুকন যাইব না? ওয়ান ওয়ে হইসে কেবল, এত বসরের অব্যাস মাইনষের। আর ঘুরাইতে কইলেই তো কাম হইতো, এত জুড়ে বাড়িডা দিলেন ক্যা? শার্জেনে পাট লয়া কয়, আপনে যান তো, আর রিকশাওলারে কয়, হই মিয়া কী অইছে, যাও যাও। অই মোমেন্টে আমি আরও বড় অস্ত্র পাইলাম। একটা গাড়ি আইছে, একই আকাম কইরা। আরেক শার্জেনে, গাড়ি থামায়, চালকরে কইল ঘুরায়া যাইতে। আমি তো পায়া বইলাম। চিল্লান দিয়া কইলাম, যামু বাই, এক শর্তে, অই গাড়িওলাও তো একই মিশটেক চুদাইছে, তো আপনে “আইনশৃঙ্খলা” রক্ষার পার্ট হিসাবে হ্যাতেরে গাড়ির থিকা নামায়া একই বল(ভর X ত্বরণ)-এ একখান বাড়ি মারেন। তাইলে আমি চইলা যামু। “আইন” না সবার লিগা হমান? নাইলে কইলাম কিন্তু যামুনা, এন্ড ঘাউরামি কইরা যামু। অন্য শার্জেন আগায়া আইলো, হ্যাতের শাটের বাড়তি রঙ্গিন কাপড়ের টুকরা জানান দিতাসে হ্যাতে শুপিরিয়র, তো হ্যাতে আয়া ম্যানেজ করল, রিকশাওলারে হাত বুলায়া কইল, যাও গা, ইত্যাদি। আর কইল, অই মাইরদাতা টেরিফিকে একটা ভুল করসে। আপনেরা মাপ কইরা দেন।
ইন্সিডেন্ট-২ – চট্টগ্রাম থে আইতাসি। সাইলুগো বাড়ি গেসিলাম, রাঙ্গামাটি। কুমিল্লাত বাস থামাইল। এক ব্যাডা, পুরা সিভিল ড্রেস, চাহনিতে পৃথিবীর সমস্ত ঘৃণা। ব্যাডায় আছল ইনফর্মা টাইপ। পুলিশ নীচনে আর হ্যাতে চেক করতে বাসে উডসে। সবার দিকে নজর বুলায়া টুলায়া লাস্ট সিটে আয়া আমার দিক চাইলো। প্রমিথরে ফালায়া জানলার বতাস ইঞ্জয় কত্তে লাস্ট সিটে একা বয়া ছিলাম। যেহেতু চুল বড় ছিল, কালা গেঞ্জি পড়া, হ্যাতে ধইরা নিল আমার কাছে গাঞ্জা আছে। চেক তথা হাতানি শুরু করল। ব্যাগের সব, সব ঘাইটা দেখল। তারপর শরীর, পকেট, বেল্টের চিপা, ইভেন জুতার তলা, স্যান্ডেল খুলাইল, তারপর টিপা দেখল পুরা স্যান্ডেল। পাছা উছা হাতানির সময় হালায় মুন্ডিতে দুইবার প্রেশার দিসিল, ভাবসিল গাঞ্জার পুটলি মেইবি। ঐ দিক ১০ মিনিট পার হয়া গেসে গা। বাসের সবাই খাড়ায়া পিছে তাকায়া কাণ্ড দেখতাসে। এক ধরণের টেনশন আবার মজা লয়া। হালায় কিচ্ছু না পায়া হতাশ হয়া কয়েকবার তাকায়া চইলা গেল। আমার মুন্ডিতে টিপি দিব পুলিশের ফর্মা, এইডা বুজলাম, আইন। কিন্তু একটু ভদ্রতা আগে বা পরে করা যাইত। অন্তত আগে। যেহেতু তার ডেরেস নাই। সে ফর্মা। পরিচয় দিয়া সার্চ করার নিয়ম না আশৃরবা গো? আপনাকে একটু চেক করব – এই কথা কইতে পারল না। আসলে তারা অনেক উবগার করে জাতির। একটু না হয় পাট লইতেই পারে।
ইন্সিডেন্ট-৩ মইন-ফখরের জমানার তেল গ্যাস রক্ষা কমিটির এক সমাবেশে। মানুষ আছিল ৬০/৭০ ডা জমায়েতে। আশৃরবারা আছিলেন শ তিনেক। তারা থেমে থেমে ধাক্কা দিচ্ছেন। মিছিল শুরু করলে ঝাঁপায়া পড়বেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। তো অই প্রাথমিক ধাক্কার সময় আমি আর ফেদুস খুব পাট লইসিলাম। আমার মনে আছে আমি ৩০ সেকেন্ড এক আশৃরবার মুখের সামনে খাড়ায়া চউক্ষের দিক চায়া ছিলাম মুখ খিচ্চা, যিনি ধাক্কা দিসিলেন মম কমরেডদিগরে।
ইন্সিডেন্ট-৪ তহন আসলেই ছ্যাঁকা খাইতেসিলাম। চুল আউলা। মুখে খুঁচা খুঁচা দাড়ি। ক্লাসের ফাঁকে চা আনবার গেসিলাম আর বিড়ি। ফিরতাসি। দেখসি এক গাড়ি আশৃরবা আইসেন। নামসেন। হাঁইটা যাইতেসি। পিছ থিকা ডাক, ঐ দেবদাস। হাঁটা না থামায়াই নিজেরে কইলাম, মিশু, তু্মার নাম দেবদাস না, তুমি হাঁটো। আবার ডাক, আরো জুরে, অই দেবদাস। আহা। এবার দাঁড়ানু। হ্যাতেরা আইলো। জিগাইল, কী করি এই হানে। কইলাম, অই বাড়িত স্কুল আছে, অইখানে আমি ক্লাস লই। কইলো, আইচ্ছা যান। এরপর তারা শার্লোকগিরি শুরু করল। আমি মাগার গেলাম না। খাড়ায়া থাকলাম। জিগাইলাম, আমারে কী বইলা ডাকতাসিলেন? এক আশৃরবা ঝাড়ি মারলেন, তো কীইসসে? যান তো। গেলাম না, কইলাম, মানুষের লগে আরেকটু ভালো আচরণ করলে অনেক সমস্যা অয় আপনেগো? অই আশৃরবা তো এইবার চেইতা ফায়ার। কয়, বেশি বাড়াবাড়ি করতেসেন। কইলাম, লয়া যাইবেন, গাড়িত? লন। পরে শিনিয়র আরেক আশৃরবা আয়া কইলো, ভাই, এইখানে একটা ঝামেলা হইসিল, ঐ জন্যে আমরা আসছি, আপনি প্লিজ চলে যান। এক বুড়ি চাচী একটু দূরে খাড়ায়া আছিল, হেও আমার কাছে আইসা কইলো, হ্যাগো লগে ঝামেলাত যাইতে হয় না কহনো। আমি ছলি আইলাম।
এই রকম আরো কিছু আছে। আমার অভিজ্ঞতাগুলান এমুন ছুডু ছুডু। হাস্যকর। যেইহানে গুম অয়, হাটেটাক অয়, করস্ফায়ার অয়, টাঙ্কিত লাশ পাওন যায়, ফর্মায় পুড়ায়া লায় মানুষরে, রেপ অয় সেইখানে এডি কিচ্ছু না। কিন্তু অই যে, অন্যে মইরা গেলেও গায়ে লাগে না আমাগো, নিজের গায়ে ফুলের টুকা লাগলেও আমরা ইয়া, যাউকগা।
এইবার ফাইনাল আলাপ। যা অনেকেই পছন্দ নাও করতে পারেন। আমি যুদি আরো কিছু এক্সপেরিয়েন্সের কথা না বলি তাইলে তো হয় না। বিপরীত এক্সপেরিয়েন্সেস। কুমিল্লায় অই ফর্মার চেকের মত না হলেও আরো ২/১ বার অই চেকের সময় নিজেরে ছোট লাগসে। বাট একদিন রাতের কথা মনে আছে( ইন্সিডেন্ট-৫)। এক আশৃরবা রাস্তাত নামতে কয়া চেক কত্তে কত্তে, মোলায়েম গলায় জিগাইল, কী করেন আপনি? কইলাম, এশকুলে পড়াই। চেক করতে করতেই কইলো, আ’ম সরি, আমাকে এইটা করতে হচ্ছে, যেখানে আমার উচিত আপনাকে রেস্পেক্ট দেখানো, কী করব বলেন, এটা এই চাকরির রুটিন ওয়ার্ক। আমার ইচ্ছা করতেসিল, তারে জড়ায়া ধরি।
এন্ড দিস ওয়ান। ইন্সিডেন্ট-৬। টাঙ্গাইলে। আমাগো ‘স্বপ্নচর্যা’ পাঠাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে আয়োজক কায়সার ভাই চিফ গেস্ট কইরা আনসিলেন টাঙ্গাইল জেলার পুলিশের বড়কর্তারে। আমি এইখানে অই বড়কর্তার তার নাম কমু না। আমি, আমার দোস্তরা, যেমন আশরাফ, রাজনদা – আমরা মন খারাপ করসিলাম, যে কেন একটা পাঠাগার উদ্বোধন করাইতে হবে একজন পুলিশ দিয়া? উনার পালা আইলো যখন বক্তিমার, উনি মাইকের সামনে খাড়ায়া কইলেন পরথমেই, “আমি জানি, আপনারা অনেকেই বিস্মিত, বিরক্ত, যে কেন একজন পুলিশ একটা পাঠাগার উদ্বোধন করতে আসছে” নইড়া বইলাম। ভাবতাসি, খাইছে, মনের কথাও ফড়ি লাইসে, ধইরা লয়া যাইব না তো। উনি কন্টিনিউ করলেন, “এবং, আমি আপনাদের দোষ দিতে পারি না, আপনারা ঠিক আছেন। কারণ যতদিন সেই ব্রিটিশ আমলের আইনে রাষ্ট্র চলবে, পুলিশ কখনই জনগণের বন্ধু হতে পারে না” আমি টাশকি। পুরা। উনি কইলেন, “এখন একটা ছোট্ট গল্প বলব আর আমার বক্তব্য শেষ করব। কথা দিচ্ছি, আমি বেশিক্ষণ জ্বালাব না আপনাদের। আমি প্রথমে একটা তথ্য দিয়ে শুরু করি, যেতাতে আপনারা ভাবতে পারেন আমি আত্মপ্রচার করতেসি। কিন্তু গল্পের জন্য তথ্যটা জরুরি। আমি মেট্রিকে স্ট্যান্ড করসিলাম(সম্ভবত বোর্ডে বা গোটা দেশে সেকেন্ড, আমার খেয়াল নাই ঠিক)”। এইটুক কয়া থামলেন। তারপর কইলেন, “আর ইন্টারে, আমি পাই সেকেন্ড ডিভিশন। আমি বখে গিয়েছিলাম, তাই না? কিন্তু। কিন্তু, কেউ যদি বলে, আপনার জীবনের সবচেয়ে ইম্পরটেন্ট টাইম কোনটা? আমি বলব ইন্টারের অই দুইটা বছর। কারণ আমার জীবনে পড়া যত বই, তার সিংহভাগ ঐ দুই বছরে পড়া। এবং আমার ভিতরে যতটুকু ভালো, তা ঐ দুই বছরের পড়ার কারণেই। রেজাল্ট শুনেই বুঝতে পারছেন ওগুলা পাঠ্য বই ছিল না”। অবাক হবার আরো বাকি ছিল। এরপর মঞ্চে উপবিষ্ট বুদ্ধিজীবী আর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরা বললেন, আপনারা কী পড়ান? আমি অনেক তরুণ তরুণীকে জিজ্ঞাসা করে দেখেছি, বলতো, বাবা বা মা, সারপ্লাস ভ্যালু কী? তারা নিরুত্তর। কী শেখান আপনারা?”
আমার মনে আছে, আমি লাইব্রেরি উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজে গিয়ে তার সাথে কথা বলেছিলাম। সেই বাটারফ্লাই সিকিং পিচ্চিবেলায় যেমন টেরিফিক পুলিশের কুলে উইঠা পড়সিলাম, আমার ইনারও কুলে উঠতে ইচ্ছা করতেসিল। কিন্তু তখন বড় হইসি তো, কিডা কোলে লইব, কন? খালি হাত বাড়ায়া দিয়া কইসিলাম, “আমি মিশু, আপনার কথা ভালো লাগসে”।
অদ্ভুত ব্যাপার, ডিমেন্টরেই এমন স্মৃতি দিসে, হুইচ ক্যান বি এনাফ টু ক্রিয়েইট আ পেট্রোনাস চার্ম।

ফিরা আসি হিমুতে। আশৃরবাকে যেমন সর্বোচ্চ রিডিকিউল্ড হতে দেখি হিমু বইগুলাতে, তেমনই আবার একটি বইয়ে দেখি – হিমু যে পবিত্র তথা নিষ্পাপ মানুষের তালিকা করছিল, সেই সংক্ষিপ্ত তালিকাতে, একজন পুলিশের ওসির নাম। তার বাসায় যে হিমু খেতে যায়, ঐ অংশটা পইড়া আমি ঝর ঝর কইরা কাইন্দা দিসিলাম। হিমু খুব কম মানুষের সামনে নত হয়। ওসি ও তার স্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করে হিমু, হিমু গলে জল হয়ে যায়। হিমু বেইসিকালি একজন বাটারফ্লাই-সিকিং অর টু বি প্রিসাইজ “আই ওয়ান্ট টু বিলিভ” কাইন্ডা পারসন। তয় ফক্স মোল্ডারের লগে তার তফাৎ হইলো, মোল্ডার ওয়ান্টস টু বিলিভ ইন এলিয়েনস, আর হিমু, মানুষে।
আমরা অনেকেই, প্রায় সবাই-ই বিশেষ পেশার প্রতি বিশেষ ও বাড়তি ঘৃণা পোষণ করি। অদ্ভুত না বিষয়টা? পুরা সিস্টেম যেখানে সমস্যাজনক, আমরা দোষ দিতে থাকি পার্টিকুলার পেশার মানুষদের, আমরা রংলি আশা কত্তে থাকি রং সিটেম থাকবে, কেবল বিশেষ পেশার মানুষ ফ্রেশ থাকবে, কারণ তাদের কান্ধে এই দায়িত্ব সেই দায়িত্ব, ব্লা ব্লা বালসাল। আমরা, কেউ ঘিন্নাই ডাক্তার, কেউ পুলিশ, কেউ উকিল, কেউ সাংবাদিক, কেউ শিক্ষক, কেউ রাজনীতিবিদ, কেউ সরকারী আমলা ইত্যাদি। (ইন্সিডেন্ট-৭) একবার স্কুলে থাকতে আমরা চাইর বা পাঁচ ফেরেন্ড একলগে বেবি ট্যাক্সিত ফিরতাসি স্কুল থিকা বাসা। সাইন্স ল্যাবের সিগনাল পার হবার সমকা, পুলিশের উদ্দেশ্যে “ঠোলা, ঠোলা” কইরা চিল্লাইসিলাম। পুলিশটা থামায়া লাইসিল বেবি ট্যাক্সি। আমরা কট। হ্যাতে জিগাইল, কও, কীল্লেইগা ঠোলা কও আমগো? মুই কইছিলাম, আপনারা ঘুষ খান। হ্যাতে এক এক কইরা জিগাইল কার বাপে কী করে। তারপর কইল, কওতো, এই প্রতিটা পেশার মানুষদের কেউই কি ঘুষ খায় না? আমরা চিন্তা কইরা কইলাম, হ। কারণ কথা তো ঠিকই। আমি তো জানি ডাক্তরেরাও খায়। সব পেশাতেই খাইতে পারে, এবং খায়। উনি এরপর ছাইড়া দিলেন আমাগো।
মুকুন্দ দিয়ে শেষ করি। মুকন্দ বস। হ, সেই সাড়ে চারশো বছর আগের চণ্ডীমঙ্গলেও আমরা আশৃরবাকে পাব। মুকুন্দ বইলা কথা। কালকেতুকে ধইরা নিতে আইসে কোটালে। কোটাল হইল গিয়া পুলিশ। আপনেরা অনেকেই কোতোয়ালী থানা – কথাটার লগে পরিচিত। ফুল্লরা আকুতি জানাইতেসে, কাইন্দা –
“না মার না মার বীরে নির্দ্দয় কোটাল।
গলার ছিড়িয়া দিব শতেশ্বরী মাল।।”
বীর হইল কালকেতু। ফুল্লরা কাইন্ডফ ঘুষ হাধতেসে পুলিশরে। দেন, ফুল্লরা জানায়, তাদের যে দোষ নেই, সেই কথা।
“বিচার করিয়া দেখ দোষ নাহি করি।
নিজ ধন দিয়া চণ্ডী বসাইল পুরী।।”
তাতেও কাজ হয় না। এবার ফুল্লরা, অই যে ‘আমারে মার, হ্যাতিরে ছাইড়া দ্যাও’ স্ট্যান্স নেয় –
“নিশ্চয় বধিবে যদি বীরের পরাণ।
এক অসি-ঘাতে আগে ফুল্লরারে হান।।”
সেই মধ্যযুগের কবিও কোটালের জন্য যেই একটা মাত্র বিশেষণ ব্যবহার করছেন, তা, ‘নির্দয়’। তারপরও মুকুন্দ এটা ঠিকই দেখাচ্ছেন, যে কোটাল সিস্টেমের স্রেফ অংশমাত্র, এবং অসহায় হুকুম পালনকারী। কোটাল উত্তর দেয় –
“শুন শুন মোর বাক্য ফুল্লরা সুন্দরী।
আমার শকতি বীরে ছাড়িতে না পারি।।
পরের অধীন আমি নহি স্বতন্তর
লঘুদোষে গুরুদণ্ড করে নৃপবর।।”
অর্থাৎ অর্ডার উপ্রের, নৃপবরের তথা রাজার। সে হুকুম মানার চাকুরি করে শুধু।
May the force(s), hence, force(s) means armed force(s), be with জনগণ।
[কাজী মুনতাসির বিল্লাহ : পাঠক, লেখক, পটারহেড। এমবিবিএস করা অ্যামেচার আর্কিওলজিস্ট। মোহাম্মদপুরের লোকাল পোলা, শিক্ষকতা করেন ‘আমাদের পাঠশালা’-য়। প্রকাশিত পুস্তক একখানা- রাস্তাফারাই, রেগে ও বব মার্লি (সংহতি, ২০১৩) – নয় নাম্বার বাসের হেল্পারগণ ]