অমোল ডিমেলোঃ জন্ম ১৯৭৩, গোয়ার আগরওয়াডা গ্রামে, বেড়ে ওঠা—পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্র, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ-এর নানা গঞ্জে, শহরতলীতে। পেশায় মৎস্যজীবী, ট্রলারে ভাইসা পড়েন বুড়িবালামে। লেখালিখি করার ইচ্ছে নাই, তা’ও হইয়া যায়। এই প্রথম কোনো পত্রিকায় লেখা ছাপা হচ্ছে।
কথকপরিচিতি
বন্দে মাতা জগন্ময়ী, বন্দে সত্যপীর
বন্দে পিতা অগাস্টিন, বীরাত্মা খিজির
অমিতাভ, তথাগত, গৌতম স্থবির
চতুর্বিংশ তীর্থংকর জীন মহাবীর
বন্দে দারুব্রহ্ম প্রভু রণছোড়দাস
বন্দে পোপ ফ্রান্সিস আসিসিনিবাস
ইসা, মসী, ইব্রাহিম, বন্দে মোহাম্মদ
অষ্ট বসু, সপ্ত ঋষি, পঞ্চমহানদ
বশিষ্ঠানী অরুন্ধতী, বন্দে দেবী বাক
জিহবা-অগ্রে অধিষ্ঠিতা গায়ত্রী স্পিভাক
বন্দে ভ্রাতা হন্তারক শূন্য শূন্য সাত
বন্দে দেবী ভানুমতী, মাদারির বরাত
তোমা সবে ত্যাগ দেহিঁ বিনা পশ্চাতাপ
অমোল ডিমেলো মুই, জনি মেরা বাপ
—
কেন রে লিখিস? এই প্রশ্ন সারাবেলা, কেন গাঁড় মারাইতে
বাংলাতলায়? হে বঙ্গ রবীন্দ্র, জীবনানন্দ। গরীবে জসীম বোঝে, কিছু নজরুল
পরিবেশবাদী; বিভূতিভূষণ। ‘উচ্চকোটি’ জনগণ ভজে সন্দীপন (বালে), মালখোরে– শক্তি সুনীল
আর কবি সুবোধ মৃদুল কালীকৃষ্ণ রণজিৎ দাশ—
তুষারে ফাল্গুনে– ‘আয় বনফুল ডাকিছে মলয় (ইয়ে মানে রায় চৌধুরী)’
বোকাচোদা অমোল ডিমেলো, তোমার ভবিষ্যৎ– দোজখনিবাস
তা’হলে অ্যাম্বিশান?—তবে কি কাহার (পাল্কীবাহক), নতুন জীবন পায় পদবী বদলে?
বশিষ্ট্, গৌতম্—স্যুট, টাই—ভালে মিঠাঘাম—বাথরুমে
তেলচিটে আইনে মে দেখেঁ—বাই গড্, বড়া অফসর্—
আই রে দিমাগ, আই রে পাওয়ার! নুংকু ফুটিয়া জাগে প্রমোদবাহার!
না’রে ভাই, দুই’পোয়া দারু, ভেজে মেঁ চড়বে কিয়া—ভারী সারারারা
তিন নাওয়ে পাঁও (নেপথ্যে ভায়াগ্রা), হঠমঠ্ করে—মাথায় রবীন বাবু করাত চালায়
বলে—‘শালা টেঁসে গেছি মোর দ্যান সেভেন্টি ইয়ার্স, এই ইতিহাস, তুহার অমোল
ইয়োর্স ওনলি, লেখ কিছু লেখ!”
—
ফলে আমি অমোল ডিমেলো
মী-অমোল ডিমেলো
আই অ্যাম অমোল ডিমেলো
বাট হু আর ইয়্যু?
তোমার প্রস্তাব আসে, এই দীন পরবাসে
কালো টেলিফোন, মদের প্রকোপে দেখি
জ্বলে যায় কাজুবন—নদীতটে ছটের প্রদীপ
খাড়ি তামাকের নাও—ধোঁয়া ওঠে।
এসেছে খলিফাবার্তা
ভেবে দেখো–
–দেখহ বিচারি—ফিরে যাবে কি-না
পিটারা বাক্স নিয়ে, এককাঠা সন্দেশ সাথে
ফিরে যাবে রজকমাফিক গাধার স্বদেশে?
হোথায় ডালিমবন, শঙ্খিনী নারী, প্রভূত বিষের
ভারে ঝুঁকে থাকে তামারং আকাশের নিচে
আমার স্বদেশ শুধু ঢেউ শুধু ঢেউ
বাঘের বিহনে একা ডেকে ওঠে ফেউ
আমি শালা জাল ফেলি জনারের ক্ষেতে
ইলিশের আঁশ যদি ওঠে মাঝরেতে
হারুন খলিফা (প্রোঃ পিউ কাটপিস ব্লাউজ কর্নার)
এত হন্তারক, বক্ষশেপার– পাড়ার দোর্দন্ড
টেলরমাস্টার– হারুন খলিফা!
ভয়েল, জর্জেট, লংক্লথ, চিকন, তসরে
পৃথিবী রুকিয়া যায়—মরা অশ্বত্থের ডালে
দোলে সূর্য অবারণ ববিনে সূতায়
মির্জা মৈনুদ্দিন—মাগরিবে মতি— অন্যথা মতিচুর
নরেন মিস্টান্ন—হাফ পাউন্ড পাউরুটি
খানিক ঘুঘনি আর ক্ষণেক বিশ্রাম
তাহারো পৃথিবী অই অনন্ত ব্লাউজে ঢাকা পড়ে
অথচ ঘরের কাছে ফিরে যাওয়া ভালো
তোমরা তো জন্মেছ বাস্তুসাপ হয়ে–স্তন্যবিমুখ
আমি একা অমোল ডিমেলো—কলাপাতা সবুজ ব্লাউজে চাপা
আমার নিয়তি। পায়ের তলায় বালি—ক্রমে শূন্যতা
করুণ টুঁটির মাঝে বাসা গেড়ে বসে।
হাতে রোম, রোমে ঘাম, স্বেদবিন্দু, কুলুকুল, প্রাণপণে
ডেকে উঠি– খলিফা! খলিফা!
চাঁদ ওঠে মনোবাসী, গুড়াকু মার্কা হাসি,
কেঁপে ওঠে অগণিত জল
রবীন্দ্রনাথ রজক (নোবেল লন্ড্রি)
রিক্ততার আমি কেহ নই
তবু সে আমারে ডাকে, বাথুয়া ও পুঁইশাকে
তার বাড়ি বল্লীপাহাড়ে—এখনি সে’খানে যেতে হবে?
সুখাজলে পাড়ি দিয়ে গেলাসের বহর পেরিয়ে
তবুও সে’খানে যেতে হবে?
আমি মূক অমোল ডিমেলো—রাতকানা, নিষ্পত্র তরু
শব্দের ঘাতে, কেঁপে ওঠে পুষ্পাঢ্য রক্তকাঞ্চন
আমি বৃথা— আমি মুদীর দোকান থেকে সোরা নিয়ে ফিরি
চেতনা অটুট, খুচরো গণিয়া দেখি, রাত্রি আটটা–
শঠতা জানি না। তার ধবল প্রহার জানি। রবীন্দ্রনাথ।
রবীন রজক। মুহুরি বঙ্কিম। সিধা চোখে গজ আর ত্যাড়ায় নৌকা।
আমি তার আড়াই চালের ঘোড়া—লিঙ্গ ঝুলে আছে, রমণেচ্ছা নেই
লল্লন প্রসাদ (সব্জিবিক্রেতা)
এবং আকাশে ওঠে অত্রি অঙ্গিরা
পুলহ পুলস্ত্য ক্রতু মরীচি বশিষ্ঠ
জাগে স্বাতী, শতভিষা, মঘা, মৃগশিরা
নিচে প্রত্যুত্তর, মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে
এল ই ডি লালটেন, কৃশকায় খর্বাকার লল্লন প্রসাদ
লল্লন প্রসাদ। নিকটে আসগর (বেপাক হারামি,
১৫০০ টাকা, বাঁড়া কর্জবিমুখ)– মুখে হাসি, তামাটে দাঁতের
ফাঁকে ঘোর অমানিশি।
লল্লন প্রসাদ— ঘর কাহাঁ বা? –নগর চিত্রকূট, জিলা সাতনা–
ঘর মে কৌন কৌন—দু বহনেঁ, মা—শাদী হুই?—চোখ ঝুঁকে আসে
গ্রীবা লাল—পিছলে মাহিনা। সাওন মাহিনা, বেটা, পবন কা শোর
জিয়া মেঁ কটার, সালা দিল মাঙ্গে মোর?
লল্লন প্রসাদ, মন্ডিমেঁ উধার। দো টকা ব্যায়াজ। –অওর হাঁ, দো কিলো পেঁয়াজ।
লল্লন প্রসাদ, সামনে আঞ্জির। টিন্ডা, ভিন্ডি, লাউ, বেঙ্গন, বশীড়
আমি তো গ্রাহক, যেমন রাষ্ট্র, বিভিন্ন মুখ তবু একই তরকীব
চাই ব্যবহার, দরদাম করি।
থাকে শুধু অন্ধকার, টিন্ডা, ভিন্ডি আর লল্লনপ্রসাদ
ভীম সিং পাটিল (শ্রমিক, গণপতি জেনারেল স্টোর)
সব রাস্তা দিল্লিতে যায়।
কেননা আকাশে তেজ, রুদ্রবহ্নি, দিল্লিযাত্রা কালে
এখানেও থমকে দাঁড়ায়—জ্বলে টার, অ্যাসফল্ট, বিদীর্ণ খোদল
বৃক্ষ গুলমোহর, লালে উচ্ছ্বসিত—কাঁপে রোড, কুকরজুবান, কাঁপে ফুটপাথ
শীসমঝোপের ফাঁকে এক বিন্দু কিরাণা দোকান—গণপতি জেনারেল স্টোর
আবে ভীম সিং, ইধার কব সে?—তরক্কী বাবুজী, পগার দুইশো জ্যাদা
প্লাস দোপহর—রোটি, কুন্দ্রুভাজি, দাল অড়হর। তনিক আচার।
অতীতে শ্রীকৃষ্ণা, লালার ভান্ডার– স্যান্ডোবেনিয়ান, গলায় গামছা
–লালাজী কঞ্জুষ, হিসাব কিতাব, মখানা কমতি—শালে কৌন খাতা হ্যায়ঁ!
–হামে তো চাহিয়েঁ বেটা টাটা কা নমক, লাইটবা, বিলাড প্রেসার—চটের বস্তা
থেকে ঝিকমিক করে ওঠে পাথর সমুন্দর– নাহিকো জুগাড়—প্যাকিট রাখতেঁ নহীঁ–
চুহা খায়েঁ, নুকসান ভারী, লুজ লেকে যাও—ওয়সে ভী বাপু আসারাম…
গণপতি জেনারেলে ইঁদুরের ভয়! জালিম দুনিয়া শালা, কী জানি কি হয়!
হে ভীম সিং, পৃথিবীর চালকশক্তি– এককালে ভেবেছিনু আশা, এখন দেখছি ভয়
তারো চেয়ে জ্যাদা পালোয়ান—দুনিয়াদুয়ারে, দাঁড়িয়ে ভিক্ষু, বলে—জি এসটি দেহিঁ…।
বেণু খোন্দকার (প্রোফেশনাল জিগোলো)
যন্ত্রণা যন্ত্রণা!– ব্রণবিচলিত তুমি কাঠের কপাল
বাঞ্চোত অমোল ডিমেলো
ব্যথায় তৃপ্তি পাও—ব্যথা মানে, ঈষৎ পৃথুলা মিসেস ডিসুজা
গোছে মল, পিঙ্ক ঠোঁট, ফটফটে স্কার্টের হেম
আর কার অকাতর, কে গেয়েছে আঠারো বছর
আমার জিগর চায়, এবার সহজ হোক, হেইগো মাদার মেরি!
মিসেস ডিসুজা
বক্ষজালিকা, আকাশে ঘনানো ফাঁপা গির্যাঘন্টা
—মন ভালো ছিল না কাহারো
মন ভালো, নচেৎ নচেৎ
কুঁদুলে সিকির মত অচল পার্সে শুধু ঝনঝন খেলা
আঁশশ্যাওড়ার ঝোপে মুখ ঢেকে গোঠে পশে বেণু খোন্দকার—
শালা মরিচাজিগোলো
বশির কুরেশি (বম্বে মিটশপ)
যে বনে বাহার এলো, বাহারউদ্দিন আর
ঐ দ্রুম মানে গাছ, তরু মানে গাছ
কী’ভাবে যে কেটে গেল জল ও শ্যাওলা
যে’ভাবে জীবন চলে যাবে
শক্ত ও রোঁয়াদার কাঁচা সমর্পণ
আমাদের চারিদিকে লাগে
আমাদের চারিদিকে বশির কুরেশি
বছর আঠারো—নুর, ফেজ, গেঞ্জিতে ঈষৎ রক্তছিট
নিখুঁত চপার
৭০ কিলো মিট, রোস্টেড কাট
৭০ কিলোটাক মিসেজ ডিসুজা, গভীর কোমর
কামানো পায়ের গোছে— তাহার পায়ের গোছে টাচ ক’রে
চলে গেল কে?
বসন্তেরই বাতাসটুকুর মত
রক্তমাংস থেকে বিচ্যুত পালকের মত
আমাদের বহু কথা থাকে, বহু কথা বসন্তদিনে
বহুকথা মাংস দোকানে
বাহারউদ্দিন
পার্বতী (জনৈকা বিধবা, সর্বজনীন পিসী)
যেন পাথর প্রত্যাখ্যান করছে অতীতকে
খামোখাই বইয়ের পাতায়, ‘প্রস্তর’ হয়ে আর থাকতে চাইছে না
সিঁদুরে হলুদে লেপে গোড়ায় একটা
ঐ পরব বাজিলো
জীবন আমাদের শেষমেষ ধরেই ফেলবে
বৃথাই নিয়তি নিয়তি বলে কেঁদে ওঠে
সাতজনমের পিসি; পার্বতী—ফুলবড়ি এয়োতিকুসুম
ক্ষতিও তো মানুষের থাকে—আর তার
‘আসি’ ব’লে চলে যাওয়া বুকের ভেতর
আকাঙ্ক্ষা ত্যাগি (বালিকা, এজঃ ১২, বয়স বাড়েনি)
ওগো নিশ্চেতন, তোমার পায়ের কাছে পড়ে থাকি আমি, হাতে টোন সুতো,
বঁড়শি– যা পৃথিবী গিলেছে। সূর্য ঢলিয়া পড়ে মান্ সরোবরে
বাঁজাআমতলে, অনিল ত্যাগির বোন, আমার চোদ্দ, তার খুব বারো—হাতে আম্রপল্লব,
বলেছিল—‘ইয়ার না বোলোঁ, হম হ্যায় লড়কি, জরা রেস্পেক্ট দো’
ঘন বনে শালের চরকি আর ভেলভেট চারা, আমি তো গুলতি হাতে বটের তাড়াই
জংলী মাহির, মাঝরাতে লাট্টু মিয়াঁর সাথে কব্বালিফেরত। লাট্টু মিয়াঁ, বদবুসুলতান
গলায় ফিরনি আর মঝলাবয়স—সরু চোখ, হাফ পাকা দাড়ি…
বাঁজাআমতলে অনিল ত্যাগির বোন—অনিলের গৌশালে হঠাৎ তেন্দুয়া
বছরা উঠা লে গয়া—সচ!
পরদিন, দু’মাইল বনের ভিতরে—একফালি সোঁতা—দন্ডি শিখরে বসে একা মাছরাঙ্গা
অপর ও’পাড়ে দেখি—তেন্দুয়া, লেপার্ড, তাগড়া হলুদে বিষকালো বুটি
ঝলক ঝলক রোদে তার জ্বলে ওঠা—আমি, হাতে টোন সুতো
বঁড়শিতে টান, ধরতি যাহারে ধরে, তারে কে উদ্ধার?
আকাঙ্ক্ষা ত্যাগি। চোখ নিষ্পলক, হাতে টোন সুতো। আমি চোদ্দবছর।
দেশ (তিন বৃদ্ধঃ ফাদার রিবেরো, মোল্লা মুশফিকুর, পুজারি পান্ডে)
কিছুই পাবে না বাছা এ শহরে এসে
৫.৩০-এ বেতারে রবীন (ছিল না কখনো), ৫.৫০-এ সুফলা, পটাশ
যৌগ ফসফরাস, ইউরিয়া, গাভীর স্বনন
বন্দে মাতরম, আমাদের হাতে হাতে টিকাদংশন
সামান্য মানুষ, ভেদভাব বুঝতে পারি না।
হাইওয়ে থেকে লিলিবন ছেদ ক’রে মশারিতে
ঘুরপাক খাওয়া ডিজেল ফিউম
হৃদে জানি, প্রভাত আসছে
বুকের ঠিকানা হাতে আসিছে প্রভাত
অনন্ত ন্যালাখ্যাপা, দুই চোখে প্রেম
গুড়ের বাতাসা আর আখের খবর নিয়ে–আসিছে প্রভাত
হিসেব জানে না
পীরের মাজার। ব্রিটিশরোপিত অ্যাস্পেন তরু, অ্যাশবৃক্ষ
তাহারে আপন—গাছের ধর্ম কী? দেশ-কাল, জাতি ও ঝনঝট?
বাছা তুমি ভারতের বোনলেস মাংস চিনেছো, চেনোনিকো কাঁটার বিন্যাস—
যা কিছু স্থাপত্য, মেনে নেওয়া, প্রতিরোধ, নিউরোসার্কিট…
সবুজ কাঠের বেঞ্চি, তিনবৃদ্ধ—ফাদার রিবেরো, মোল্লা মুশফিকুর, পুজারি পান্ডে
তিনজনে গুজগুজ, খুশহাল, একখানি খবরকাগজ,
তাঁহাদের দৈনিক জাগরণ– চায়ের দোকান
ঘুঁটে আর গুলের আগুন…তনিক অদ্রক, ইলাইচি, ব্যস—
যেমন ব্রিটিশ, তারো আগে তাতার মোঘল
চারিদিন পরে বাছা তুমিও পটাশ, যৌগ নাইট্রোজেন, গাছের খাবার
তোমার ইজম শুধু ঘোরে মাঝরাতে, ক্রূর ও একেলা আর করুণাদায়ক
গেরস্ত বিছানায় কালচিতি হয়ে ওম চায় ওম…
বাল, তুমি কিছুই পাবে না!
(আংশিক)
কবিতার সাথে আঁকাঃ মহসিন রাহুল
বাহ! একেবারে অন্যরকম লাগল
LikeLiked by 1 person