রাধে ঘোষ
এপ্রিলরাতে জৈবক্রিয়া
১.
এখন চর্ম অভিজ্ঞতা ঝেঁপে এসেছে
গুচ্ছ গুচ্ছ অন্ধকার
একশ বৈদ্যুতিক পরী এই স্পর্শলাঞ্ছনায়
এপ্রিলরাত টুকিটাকি জিনবাহিত খবর আনে
জাতককাহিনীর দূরসূত্র মোম মেরুদণ্ডে বাষ্পাকারে…
মানুষের পিছু পিছু ঘুরে রাতের রিপোটার্জ
বোকা বেগড়
মিলনকালিন তাপমান ফুরিয়ে নিবিড় শূন্যতা
কবির হাতে হৃদয়ের ঝড়
আবুলসরঙা নিঃশক্ত অনুভব দানা বাঁধে
২.
গুচ্ছ গুচ্ছ অন্ধকার…
সকাল জলে ফুলস্তন ভাসে
শালুক আলের ইউনিফর্ম কিশোরী
উদ্যানময়
কথা- কলসি ডুবে যায় দৃশ্য পিছলে
চোখের নীচে নিষিদ্ধ ফুলের চাষ লিখে রাখা
৩.
গতকালের কথা কপচে চলছে
সমতল দিনগুলি পুরাতন মুদ্রায়
কিছু কি নতুন মন্তাজ
সারারাত এক মাড়াই কলের পাশে
বৃতিলগ্ন গোবর পেতেছে আমাদের মেয়ে
নগ্ন আখক্ষেত
এখানে মনোহারী রোদ হয়
বিভৎস চার্চের শান্তি
শুন্যে হৃদবেদীমূল
ঠান্ডা অন্ড
এই মুখ জেনেছি ককেট্রিস এই
ভাবে
মাড়াই কলের পাশে বসে থাকি
স্কাইলাইন ছুঁয়ে এইরকম পিনন্ধ কোলাহল
মায়াবী রেলিকস্
আমাদের পরিবারের অর্বুদ বছরের
যৌনকষ্ট জেনে
গোরুর ক্লান্তি পায়। জাবর পায়।
মাড়াই কল ছিটকে বাগালপান বেলা
উঠে আসে
আর আমার কোন
আর আমার কোন ছোট ডিঙি চড়ে
অমিয়ভূষন নেই
এমনকি কোন দূর্বাদল, বন্ধুদল, কোন আড়াবাড়ি বিহার
কোনকিছু নেই
আমার ২৪ মার্চ পরিক্ষা, ৫ ই এপ্রিল রেজাল্ট, ৬ ই ভর্তি শুরু, মে তে সেশান্
মাঝে গাড়ি, বইপত্তর, আর আমার কচিকাঁচারা
আর কোনদিন আমি তরুনদার চুমো
আশা করবো না
আর বোধকরি মিঠুদের সাথে বলাকার মাঠ
নদী পেরিয়ে ফাস্ট ইয়ার!
জলে টুপটাপ সূর্যপতন
জলব্রীজের ওপারে সুউচ্চ
বেগম আখতার
আর বোধকরি কোনদিন
ভালোবাসবো না হুইস্কি
প্রতিভার সন্ধানে খাদানের কারু
শ্যালিকার জানু ভেবে
নবজন্মাবো না

রাধে ঘোষ
জন্ম – ২৯ জানুয়ারি, ১৯৭৬
সম্পাদিত পত্রিকা- মফস্বল
গ্রন্থ – নেই।
দূর্বাদল মজুমদার
ব্যাজস্তুতি- ১
অ্যাতো টং ভ’রে আছো
রঙ ভ’রে আছো
মুদ্রা নেই বলে কিছুটা দূরত্ব রাখি
আজকাল আর কিছুই চাওয়া হয়ে ওঠে না
ভুল থেকে পার নেই জানি
যে জল দু’হাতে ধরে তৃষ্ণার বিষ পেয়েছিলে
তাকেই
তাতেই
‘ভালোবাসা’ আশ্চর্য্য ভেবে এগিয়ে চলেছি
ব্যাজস্তুতি – ২
আর কখনো কবিতা কচিতা লিখবো না।
আর কখনো মৃদু হরিনীর ছুট
এই দৃশ্যে
তুমি তো বলেছো স্তনের খরবৃন্ত হাতের তালুতে মাখলে বিপদ আসছে
বিহারিনীর পাছা তোমার উপরে পিংপং খেললে
আমি পাছা ই বলব
হে মৃদঙ্গ, মাদোল হে!
কতোটা মাখলে তাকে মা-কাল বলা হবে?
মাকাল বলা হবে
আমি কি ফলের বর্ণনা দিয়ে দুয়ে
শেষত চর্বনপুঁই, অথবা বেগুনতলা দিয়ে
খোয়াবের স্বপ্নজাকে তুলে এনে বাঁধাবো চৌচির?
না কি সে নিজেই ফেটে যাবে!
তুমি ফেটে যাচ্ছ। ফুটে উঠছ। আলুকশালুক ভোর তোমাকে খুঁজছে আলোয়
আলু ও লায়িতে। টোটেমে। বাঁয়া ও তবলার ভিড়ে, ভিডিওয়
যেখানে জারুল নামে এক অভিমানি-কবি কিছুটা বেঁটে নিচ্ছে, বেচে নিচ্ছে।
এই মন তোমাকেই চাই বলে যাচ্ ছে।যাচ্ঞা হে!
দ্যাক্ দিকি! আমরা ই’রম্ পড়তুম নাকি!! এই র’ম পড়তুম
বলে পিসি।
মা গো! মা-এর চেয়ে, চে।
চে এর চেয়েও বড়ো তিনি
আর ইরম্ কে চেনো?
শর্মিলা!! চানু বা চানার দানা
বড়োই চালাক ছিনু গো!
ব্যাজস্তুতি – ৩
এত শীত এসে রাত্রিকাল ভাসাচ্ছে
ঘরে ফেরা জঙ্গলে দাঁড়িয়ে
কী কী মিথ্যে বলা যায় বুঝে
ঝানু মর্মচোর অন্ধ-কারে সিগারেট নেভায়
জরিপ খাদানের পাশে
রীতগুলি রপ্ত হচ্ছে না আজকাল
আস্তিন গুটিয়ে গেল যারা
তারা কি ফিরল
ঘর নেই। ঘর আছে। ঘর নেই। ঘর আছে।
এসো বান্ধবসকল
যেটুকু ময়ান মৃদু ঝুলে আছে
তার অববাহিকা থেকে দূরে
ফুটে আছে আলমাতাল লেখাগুলি

দূর্বাদল মজুমদার
জন্ম – ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬
সম্পাদিত পত্রিকা- বুদবুদ।
গ্রন্থ – রুদেল ফিদামন ( প্রকাশিতব্য। বাংলাদে। মিনজিরি প্রকাশন)
অভি সমাদ্দার
বিবিধ মেথি -৫
জলসদনের আঁজলা
মনপাতন
মরচে
আহা নম্র!
ঝেঁপে আসা চর্ম শেকলে
স্বপ্ন দরোজা হল না
জলীয় আন্ধার এলো
দু’কলির জিন্দা যোগী
গুনগুন দানা স্বল্পে
জারণ, নিরন্ন হলো না
বিবিধ মেথি -৬
হৃদি-কেয়ারি আলো
দু’পাশে দীর্ঘ শালবন
আর মরচেতনার পাশে
এই পানশালা
এখানে টম্বুর হয়
রক্ত ও তিতাসে
দিনযাপনের ভেষজ-আমিষে
যে অক্ষ ঘূর্ণমান
যে অক্ষ সংজ্ঞা-মূর্ছিত
তার ত্বরণ খুলে খুলে
সারি দিচ্ছি দু’চার কথা
জংটুকটুকেমন !
হৃদি-কেয়ারি আলো
দু’পাশে দীর্ঘ শালবন
বিবিধ মেথি- ৮
হৃৎ-খননের ঝুঁকি
বিভাজিত চিলতে
আহা! চিত্রল
সকল বুদবুদে
মন কি মনের বিন্দু !
তবু দেখো,
দানা প্রতি শ্রমে
মৃদু সাড়া পাই
নিশিগন্ধে নিশিগন্ধে
যেটুকু বুনন
কারু দোদুল আনি ঘরে

অভি সমাদ্দার
জন্ম- ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৮
লেখালেখির শুরু গত শতকের নয়দশকের শেষের দিকে।
গ্রন্থ – নেই।