সানিয়া রুশদী’র হসপিটাল পাঠের পর – মুরাদ নীল

সানিয়া রুশদীর হসপিটাল পড়ার আগ্রহ জন্মে মূলত মুরাদুল ইসলামের রিভিউয়ের কারনে।খুবই ছোট্ট একটা রিভিউ দিছিলেন উনি। মুরাদুল তাঁর রিভিউতে সিলেটের শাহজালালের দরগার এক পাগলের কথা বলছিলেন, সেইটা দেখেও উৎসাহিত হই। কিছুটা চমকে যাই। ২০১৬ সালের প্রায় প্রত্যেক বৃহস্পতি আর শুক্রবার শাহজালালের দরগার প্রত্যেক পাগলের সাথে কম বেশি দেখা হয়েছিলো আমার। নুরু পাগলা,  নওশের সাধু, রশিদ পাগল— এঁদেরকে আমরা ভাই/গুরু বলেই ডাকতাম। মুরাদুল যে পাগলের কথা লিখেছেন ওনার নামটা এখন আর মনে পড়তেছে না। যদিও আমি পাগল বলতে নারাজ। কারণ সামাজিক আচরণগত ক্রাইটেরিয়া থেকে হয়তো এরা আনফিট। আমাদের চোখে সমাজে যারা আনফিট, এদেরকেই আমরা পাগল বলে চিনি। তো ঐ লোককে সবসময়ই দেখতাম, কাগজ কুড়িয়ে কিছু একটা লিখতে থাকেন। কাগজ কিংবা লেখার মতো কোন ম্যাটেরিয়াল না পেলে নিজের হাতে, শরীরে লেখেন। লেখা কাটাকুটি করে ফেলে দেন, আবার লেখেন।

২.

রুশদীর হসপিটাল সাইকোলজিকাল, এ্যানালাইটিকাল উপন্যাস কি না, এই সিদ্ধান্ত নেয়া একটু কঠিন। কারণ উপন্যাসের কোথাও কোন প্রশ্ন নাই, সিদ্ধান্ত নাই। প্রোটাগনিস্ট এইখানে শুধু হসপিটালে যাওয়ার আগে ও পরে তার ডেইলি লাইফের কিছু ঘটনার বর্ণণা দিয়ে গেছেন। এই ঘটনাগুলো থেকে পাঠককে নিজস্ব সিদ্ধান্তে আসতে হয়, প্রোটাগনিস্টকে আমি সাইকোপ্যাথ ধরে নেবো কি না। প্রোটাগনিস্টকে উপন্যাসে সবাই যেমন কালেক্টভলি জাজ করে, আমি তেমনটা করতে চাই না। কারণ উপন্যাসটা পড়তে পড়তে আমার মাথায় কয়েকটা চিন্তা উঁকি দিছে। আপাতত সাদামাটা প্রশ্ন, ফিট আনফিট দুজনই একই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, এটা কি শুধুই মনস্তাত্বিক দিক থেকে? প্রোটাগনিস্ট যা যা করে, তার নিজের সিদ্ধান্ত, সে সবকিছুই ঠিকঠাক করতেছে। সবই স্বাভাবিক। এবং তার এই স্বাভাবিক কাজকর্মগুলাকে তার পরিবারের সদস্যরা অস্বাভাবিক ধরে নিচ্ছে। একইভাবে প্রোটাগনিস্টের এই স্বাভাবিক কাজকর্মকে যারা অস্বাভাবিক বলতেছে, প্রোটাগনিস্ট উল্টো তাদেরকেই অস্বাভাবিক ভাবতেছে!

অনেকটা দরগার সেই লোকটার মতো। যে লোক ময়লা শরীরে, আধ ন্যাংটা হয়ে সারাক্ষণ কাগজে আঁকিবুঁকি, লেখালেখি করতেছে, গালাগালি করতেছে, সেই লোক তো ফিটের চোখে আনফিট।

আবার আনফিট ভাবতেছে সে যা আঁকতেছে, লিখতেছে,বলতেছে সবই ঠিক আছে। যে এইসবকে পাগলামি বলতেছে সে তার চোখে আনফিট।

কিন্তু হসপিটালের প্রোটাগনিস্ট এ্যাতোটা ডেসপারেট না। তার কাজকামগুলো খুবই সাধারণ ঘটনা। মাঝরাতে উঠে বই পড়া, গান শোনা, লাইব্রেরিতে ফোন সাথে না নিয়ে যাওয়া এই রকম।

আমরা যখন সুস্হ বা ফিট মানুষেরা কাউকে আনফিট ঘোষণা করি, তখন আনফিটের  এথিকাল না সোস্যাল বিহেভিয়ার, কোনটাতে বেশি জোর দেই?

৩.

মজার ব্যাপার হইলো, উপন্যাসের প্রায় পয়লা লাইনেই আমরা একটা ক্লু পেয়ে যাই, প্রোটাগনিস্টকে পুরো উপন্যাসেই এ্যাবনরমাল বা আনফিট হিসাবে দেখবে তার গণ্ডির ভেতরে থাকা চরিত্রগুলা। যখন প্রোটাগনিস্ট নিজ বয়ানে পাঠকদের বলতেছে, “সকালে উইঠা দেখি যে লুনা  আপা আমারে ইমেইলে মনের (ক্লদ)চারটা ছবি পাঠাইছে। ও চায় এগুলার কোনটা সম্পর্কে আমার ভাবনাগুলা লিখি, কিংবা এগুলা দিয়া ইন্সপায়ার্ড হইয়া একটা ছবি আঁকি। ওর ধারণা ফেসবুকে বা কম্পিউটারে বেশিক্ষণ বসে থাকা আমার জন্য খুবই ক্ষতিকর,….।” এবং সেইটাই ঘটে। প্রোটাগনিস্ট একবার সাইকোসিসে আক্রান্ত হইছিলো, পরিবারের সবার ধারণা প্রোটাগনিস্ট ট্রমা থেকে বের হইতে পারে নাই, এখনো ট্রমাটাইজড। ফলে সবাই আসলে প্রোটাগনিস্টের যাতায়াতের পরিধি পর্যন্ত একটা কোড অব কনডাক্ট জারি রাখে।

৪.

উপন্যাসের বিভিন্ন পার্টে প্রোটাগনিস্টের আচরণ নিজস্ব অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে পড়তেছিলাম। ছবি নিয়া বাসায় একটা ঘটনা ঘটে। প্রোটাগনিস্টের আঁকা ছবি তার মামা ও আরো কেউ দেখতেছিলো। মামারা আঁকার প্রশংসা করতেছিলেন, কিন্তু প্রোটাগনিস্ট শুনতে পায় কেউ একজন বলতেছিলো- কিছুই হয় নাই, ঘোড়ার ডিম!

আরেকবার কমিউনিটি হাউসে খাবার টেবিলে বসে প্রোটাগনিস্টের খাদ্যাভ্যাস, মুসলিম আইডেন্টিটি নিয়া বাকিরা হাসাহাসি করতেছিলো। এইটা ক্লিয়ার না। কারণ প্রোটাগনিস্টের কাছে মনে হইতেছিলো বাকিরা হাসাহাসি করতেছিলো।

ঘোড়ার ডিম বলা বা হাসাহাসিটা হয়তো ঘটেই নাই। একটা ইনফেরিওরিটি কম্প্লেক্স থেকে হয়তো এই ভ্রমটা ঘটেছিলো। কিংবা ব্যাপারটা এরকমও হতে পারে, সোসাইটি/ফ্যামিলির মানুষ আমাদেরকে যখন আনফিট ভাবে তাদের পরিবার বা সোসাইটির জন্য, তখন তারা আমাদেরকে যেসব বলে/বকাঝকা করে, এইগুলো শুনতে শুনতে আমাদের মস্তিষ্ক হয়তো এসব শোনার জন্যই প্রস্তুত থাকে। কনসাসলি কিছু না ঘটলেও, না বললেও আমাদের সাবকনসাস মন তখন ঐসবই শুনতে পায়।

মান্টোর ‘খোল দো’ গল্পটার কথা মনে আসতেছে।দাঙ্গার সময় একটা মেয়ে অপহরণের শিকার হয়। সেখানে মেয়েটা ক্রমাগত ধর্ষিত হতে থাকে। তার বাবা তাকে উদ্ধার করার পর যখন ডাক্তার নিয়ে আসে, ডাক্তার প্রথমেই বলে “খোল দো”। মানে ঘরের দরজা, জানালা খুলে দিতে বলে পর্যাপ্ত আলো বাতাস আসার জন্য।

খোল দো শুনেই মেয়েটার হাত চলে যায় তার নিজের সালোয়ার এর ফিতায়। যেহেতু অপহৃত থাকার সময় ধর্ষকদের কাছ থেকে তাকে শুধু এই শব্দই শুনতে হয়েছে। তো সোসাইটি বা পরিবার আমাদেরকে নিয়ে ক্রমাগত যেসব কথা বলে,  এ্যালিগেশন দেয়, সাবকনসাসলি আমরা মনে হয় সেগুলাই শুনতে থাকি।

৫.

আমার কাছে মনে হইছে পুরো উপন্যাসের থিম ধরা আছে একটা মাত্র বাক্যে, একটা সংলাপে। প্রোটাগনিস্ট যখন বলে, “তোমাদের মাইন্ডস আর অলরেডি মেইড আপ”। মনে হয় প্রোটাগনিস্টকে সবাই মিলে এক্সপেল করতে চাচ্ছে আর প্রোটাগনিস্ট সেটা ডিফেন্ড করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মাথা পেতে মেনে নিচ্ছে। প্যাথেটিক এবং ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার। প্রোটাগনিস্টের “ক্রাইসিস অব এগজিসটেন্স” এর যন্ত্রণাটা পাঠক টের পায় এইখানে। হসপিটাল আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে অন্তত বছর পনেরো আগে দেখা সালমানের খানের ‘তেরে নাম’ সিনেমাটার কথাও। নায়ক মানসিকভাবে সুস্থ থাকার পরেও সবাই তাকে ট্রিট করতেছে পাগল,  মেন্টালি আনফিট হিসাবে। কিন্তু সে যে মেন্টালি ফিট আছে এইটাই বুঝাইতে পারতেছে না কাউকে। শেষে সিচুয়েশনের কাছে হার মেনে নিজেই পাগল সেজে চলে যাচ্ছে হসপিটালে।

৬.

উপন্যাসের পু্রোটা জুড়েই একটা ব্যাপার খেয়াল করি, প্রোটাগনিস্ট একটা অটনোমাস লাইফ লিড করার বা নিজের অটনোমাস আইডেন্টিটা টিকিয়ে রাখার জন্য মরিয়া। নিজেদের চোখে যখন অন্যকে মেন্টালি আনফিট মনে হয়, তখন আনফিটের প্রতি ফিটের মায়া মহব্বত আসলে আনফিট নিতে পারে না। মানে আনফিটের প্রতি ফিটের আচরণ আর স্বাভাবিক থাকে না। ব্যাপারটা মনে হয় আরো ক্লিয়ার করা যায়___

” কিন্তু তোমারে কনভিন্সড শোনাইতেছে না যে? তুমি কি মনে করো না যে তোমার ফ্যামিলি তোমারে ভালোবাসে না?”

” বাসে হয়ত, কিন্তু সেইটা তাদের মতো কইরা। আমার আমিরে ভালোবাসে না।”

এবং ব্যাপারটা আরো একটু ভয়ঙ্কর, প্রটাগনিস্ট বা বাস্তবে মানসিক রোগী কাউকে আমরা সিম্প্যাথি দেখালে তাদের ভেতরে একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়। নিজেকে ইনফিরিওর ভেবে গুটিয়ে নেওয়ার প্রবণতা থাকে, অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে।  ব্যাপারটা এমন হইতে পারে, আমিতো ঠিক আছি, সুস্থ আছি। তাহলে তারা আমারে এক্সট্রা দরদ দেখাইতেছে কেন? আমি কি ঠিক না? অসুস্হ?

“আমার বোন যে আমারে সিম্প্যাথি দেখাইল, সেই জন্য আমার কান্না পাইতেছে। সিম্প্যাথিতে আমার কান্না পায়।”

৭.

উপন্যাসটা মোটা দাগে মূলত ফিট আর আনফিটের দ্বন্দ।দুই পক্ষের পার্সপেক্টিভই এ্যানালাইসিস করতে উৎসাহিত হবে পাঠক। এজন্য সাইকোলজির ছাত্র হওয়াটা এখানে জরুরি না। কারণ উপন্যাসটা পড়তে পড়তে একরকম একজন মানসিক রোগীর মনোজগৎ ঘুরে আসা হয়। তার চেনা দুনিয়ায় সারভাইভ করার জন্য ক্রাইসিসগুলার মুখোমুখি হতে হয় আমাদের।

 ৮.

ভিগটৎস্কি, মার্ক্স, সোস্যাল কন্সট্রাকশনিজম প্রসঙ্গগুলা যদি উপন্যাসে লেখিকা ইনটেনশনালি নিয়ে আসছেন শুধু পাঠককে চিন্তার ভেতরে ঠেলে দেয়ার জন্য, তাহলে তাঁকে আমি পাঠক হিসাবে স্যালুট জানাই। প্রোক্সিমাল ডেভেলপমেন্ট বা প্রোটাগনিস্টের ইমোশনাল, কগনিটিভ প্রোসেসের ভেতরে থাকার কারণে এমনিতেই ভিগটৎস্কি কিছুটা জরুরি হয়ে পড়ে এখানে। মানে বইটা পাঠ করতে করতে যেন শুধু নিরীহ, বিনোদননির্ভর পাঠ না থাকে,  লেখিকার বুদ্ধিবৃত্তিক টেক্সটগুলার সাথে একটা ডিসকোর্সের সুযোগও থাকে। আমি মনে করি পাঠক এই বইটা পড়তে পড়তে নিজেই ফুকোর মতো কিছুটা ইতিহাস আশ্রয়ী হয়ে মানব সমাজ, মানুষের আচরণ বিশ্লেষণে আগ্রহী হবে। প্রোটাগনিস্ট যেহেতু সেল্ফ আইডেন্টিটি নিয়ে কিছুটা কনফিউজড সে ক্ষেত্রে এই পাঠ সোস্যাল স্ট্রাকশনিজমের হাত ধরে  চার্লস কুলি পর্যন্তও যেতে পারে। এমনকি কমিউনিটি হাউজের ভেতরে আচরণবিধির মধ্য দিয়ে যখন প্রোটাগনিস্টকে যেতে হয় তখনও এই পাঠ ফুকো পর্যন্ত যায়। মধ্যযুগ বা রেনেসাঁ পর্যন্ত ইউরোপের সমাজগুলোতে দেখা যেতো সোস্যাল, মেন্টাল আনফিট আর ফিটরা পাশাপাশি অবস্থান করতো। কিন্তু আস্তে আস্তে জেলখানার মতো ব্যাপারগুলার উদ্ভব, কিংবা অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তি মানুষের উপর ডমিন্যান্ট উপায়ে আচরণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারগুলোকে হসপিটালের কমিউনিটি হাউজ পর্যন্ত মিলিয়ে পড়া যায়। এবং প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গে পরিবারও বাদ যায় না এখানে।

৯.

পাঠক কিছুটা হতাশ হইতে পারে উপন্যাসের মনোটোনাস ঘটনাগুলোর কারনে। মানে কোথাও কোন উত্তেজনা, থ্রিল বা ক্লাইম্যাক্স নাই। খুবই সাদামাটা কিছু ঘটনার বয়ান। যদিও হসপিটালে যাওয়ার পরে একটু উত্তেজনা ছিলো কী হয় কী হয় নিয়ে। কিন্তু শেষপর্যন্ত এই উত্তেজনা আর থাকে না। এজন্য দুই একজনের পাঠ প্রতিক্রিয়ায় দেখেছি উপন্যাসটাকে স্লো, বিরক্তিকর বলতে। অনেস্টলি, এই উপন্যাস আমি দুইবার পড়েছি, কিন্তু আমার কাছে বিরক্তিকর ঠ্যাকে নাই।

১০.

উপন্যাসটা শেষ হয় যেন একটা ব্যক্তিগত আশাবাদের ভেতর দিয়ে। পোয়েটিক অপটিমিজম। চারপাশের ‘মেইড আপ’ মনের মানুষগুলার চাপিয়ে দেয়া কোড অব কন্ডাক্ট আর আরোপিত সিদ্ধান্তের কাউন্টার যেন প্রোটাগনিস্টের আঁকা ছবি। সারি সারি উইলো গাছ কানতেছে। কিন্তু সারিবাঁধা অবিচ্ছিন্ন গাছগুলার কিছু বলার নাই। তাদের সমস্ত কথা যেন বলা হয়ে গ্যাছে। এই মেটাফোরের মাজেজা বোঝা চেষ্টার করি। যেন প্রোটাগনিস্টের চারপাশের সারি সারি মানুষগুলো তাদের সমস্ত কথা বলে দিয়েছে। বলা হয়ে গেছে, যেমন করে তাদের মন মেইডআপ। আর এইসব থেকে একটু দূরে, একটা আইসোলেটেড গাছ বা মানুষ একাকী দাঁড়িয়ে আছে। সেই গাছটা কিংবা মানুষটা দাঁড়িয়ে আছে ফুল নিয়ে। তার মাথা মেঘ ছোঁয় ছোঁয়। তার মাথার কাছে পাখিরা ওড়াউড়ি করে।


মুরাদ নীল। উত্তরবঙ্গে জন্ম। নব্বই এর দশকে শৈশব আর কৈশোর কাটানোর ফলে গর্বিত, কিছুটা নস্টালজিক। আধা এ্যানার্কিস্ট, আধা নিহিলিস্ট।

2 comments

  1. “২০১৬ সালের প্রায় প্রত্যেক বৃহস্পতি আর শুক্রবার শাহজালালের দরগার প্রত্যেক পাগলের সাথে কম বেশি দেখা হয়েছিলো আমার … যদিও আমি পাগল বলতে নারাজ…আমাদের চোখে সমাজে যারা আনফিট, এদেরকেই আমরা পাগল বলে চিনি। ” ‘পাগল’কে প্রথমে পাগল বলে,একটু পরে পাগল বলে হেয় করতে নারাজ হয়ে, তারপর পাগলকে আনফিট বলা- এবং ফিট আনফিট এই দ্বন্দ্ব দিয়ে পুরা জিনিসটা লেখা- লেখা না হওয়ার একটা উদাহরণ হতে পারে। সবাই লিখতে জানে না। সবাই পড়তেও জানে না। যারা পড়তে জানে না তারা যখন লেখে তখন ঠাকুরকে স্মরি- ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী।”..। হসপিটাল আমার খুব্বি প্রিয় উপন্যাস। এই উপন্যাস পড়তে শিখুন। আদর।

    Like

মন্তব্য করুন

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  পরিবর্তন )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  পরিবর্তন )

Connecting to %s