বিজন ধ্যানকেন্দ্র দেয়ালপত্রিকার শেষ সাক্ষী (দ্বিতীয় পর্ব ) / রনি আহম্মেদ

[ শিল্পী রনি আহম্মেদের ধারাবাহিক স্মৃতিগদ্য ]

প্রেমের কলঙ্কের মাঝে এমন সুখ আছে, যা বেহেশতের লোভকে ও ভুলিয়ে দেয়, তাই তুমি লোভী না হয়ে প্রেমিক হও” — সুলতানুল হিন্দ গরীবে নেয়াজ হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রহঃ)

(এটা একটা সময়ের গাথা, এখানে ২৫ /৩০ বছর বা ততোধিক সময়ের নানা গল্প , পুরানো অয়েল পেইন্ট এর ঘ্রাণ , টেক্সচার । …আর্ট, কালচার এন্ড লাভ। কারণ ভালবাসা এমন এক শক্তি যা টাইম স্পেইস এর বাইরে থাকে। জান্নাত থেকে দুনিয়ায় আসে এবং জান্নাতেই ফিরত। আর এই লেখা হলো হারানো জান্নাতের গোলাপ। এ সিটি অফ এন্ডলেস লাভ। যখন সমাজে মানুষের দেখা মিলতো। আমার অভিজ্ঞতার একটা বয়ান। যেখানে উঠে আসবে এমন সব ঘটনা যেসব সত্য কিন্তু একটা ড্রিম স্টেট থেকে দেখা। মেমোরি হলো জেগে থাকা স্বপ্নরাজ্যে ডুবে যাওয়া। এই লেখা সময়ের দীর্ঘনিঃশ্বাস বা এমন একটি গ্রহের কথা যার কোন একজিস্টেন্স আর নাই ,সমগ্র কসমোলোজিতে, কিছু গড পার্টিকেলে হয়তো আছে ।আমরা যখন লস্ট ইন স্পেইস টাইম, তখনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট থেকে একজন ফোন করে বললো পৃথিবীর শেষ প্লেন উড়ার বেশি দেরি নাই কারোরই ,এইটা শুনে আমি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে গেলাম এবং লিখা শুরু করলাম।

/ রনি আহম্মেদ। )

বিজন ধ্যানকেন্দ্র ওয়াল ম্যাগাজিনে একটা QR CODE ভবিষ্যৎ-বাণী ছিল…মানুষ জানতো এই বিষয়ে , নাথিং এলস ম্যাটার ..মেটালিকার গানটা সিলিন এর খুব পছন্দ ছিল..কারো আপত্তি কি ছিল তাতে ?সৈয়দ শামসুল হক বললেন সবই তো স্তব্ধতার অনুবাদ…আমি বললাম তিনশো সাতাশ দিন , ছফা ভাই বললেন, আমি প্রতিদিন একটা করে নতুন তত্ত্বের জন্ম দি….আমি বললাম জন্ম থেকে জ্বলছি..রাইসু বললো হক মওলা …ধীরে ধীরে আমরা ঘুমিয়েই গেলাম একটা খোলা ঘরে ..রাত দুইটায় বাবুন্টু জানালায় টোকা দিল। আমরা রাস্তায় বের হলাম। তখন জুরাসিক যুগ। …ডাইনোসর আর টেরোডাকটিলরা ধীরে চলাফেরা করে গরম রুটি ডিম চা …রাত দুইটায় জোর করে খাওয়া হলো দোকানদারের ঘুম ভাঙিয়ে।…সেবার দেশে সেঞ্চুরি ফ্লাওয়ার ফুটলো। .আমি কথা বললেই গোলাপ ফুটে। ..এক কবি অভিযোগ করল..রনি শহরের সেরা সুন্দরীদের নিয়ে চলে যাচ্ছে।…আমি আরাম পেলুম যে এখনো আমি খুব একটা বিখ্যাত হই নাই। ..সেই সময়টা ছিল পোর্টাল, অনেকে অদৃশ্য হতো…..ঢাকায় তখন একঝাঁক UFO নামলো। ওগুলোর গা দিয়া বেগুনি আলো , মানুষ অবাক হলো , পিপিপি শব্দ , জাদু ঘরের মাথায় একটা বড় আকারের নামলো , লেজার বিম দিয়া একটা এলিয়েন নেমে আসলো।….সেই এলিয়েন মেয়েটাই সিলিন ,কোঁকড়ানো চুল চোখে মোটা চশমা। ..সিলিন নাক দিয়া সিগারেট খেতো…দুই নাকের ফুটায় দুইটা। আর মুখ দিয়া ধুয়া ছাড়তো। ..ব্যাগের মধ্যে দুই চারটা ডাইল এর বোতল। তখন ডাইলের যুগ…চারিদিকে ডাইল।..এলিয়েনরাই এনেছিল । ..সিলিন রাজমনি ঈশাখাঁ হোটেলে দেখা করলো। আমি ভাবলাম শ্যারন TATE এর মৃত্যু সংবাদ ও কি জানে?সিলিন পরে স্টেটস এ চলে যায় এই কথা শুনে। …রোঁদেভু রেস্তোরায় শিল্পী রুহুল আমিন কাজলের আমন্ত্রণে একটা পার্টি হলো ,ওটা এখনো চলছে। শ্যারন TATE বাংলাদেশে আসলো হঠাৎ, একদিন হলুদ ফুল নিয়ে দাঁড়ানো দেখলুম আমার দরজায় , আর কখনো কোথাও যায়নি,..শ্যারনের জন্য গাদা ফুলের মালা কিনলাম শাহবাগের মোড় থেকে, ফারাহ দাঁড়িয়েই ছিল চারু কলার গেটে, কিছু পুরানো ফটোগ্রাফ দিয়া গেলো …ওগুলো এখন কোথায় ?কারো জানা থাকলে বলবেন। দেহলভী আসতো সকালে আর যেত বিকালে চুপ চাপ বসে থাকতো। আমি সুমন আর দেহলভী। ..জেমস এর কিছু গান ওর লিখা ছিল..পরে কোরিয়ানায় জেমস এর সাথেই আড্ডা হলো বেশ কয়দিন। ..রাজ বাড়ির কথা তার মনে আছে , ঝর্ণা থেকে নদী, মামা, টুটুল হায়দারি ছিল তার গুরু , এইটা উনারই গান, টুটুল হায়দারির মানের শিল্পী বাংলায় কম জন্মাবে , কিন্তু তিনি আড়ালেই থাকলেন গহীন জঙ্গলের বুনো ফুলের মতো…মামার জন্য শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।…..UFO দের একটা নামলো চারুকলার ড্রাই পণ্ডে। ওটার ডিউটি পড়লো ইমরান এর উপর। ইমরান ইমনকে নিয়ে ওটার মেইনটেনেন্সের কাজ করলো। রুপালি আর সোনালী রং মেখে তারা রাস্তায় নামলো এর ফলে ufo টা ঠিক হলো….ভোঁ ভোঁ শব্দে মানুষের কান নষ্ট হলো দশ মাইল জুড়ে। এবাদুর বললো দাস ক্যাপিটাল। আমি বললুম। শেষ করো না শুরুতে খেলা, মোহাম্মদ কিবরিয়া আকাশের দিকে তাকালো। ধূসর কালার এর আকাশ। শ্যাওলা ধরা..মেঘ। ..রাফি ভাই বললো ২৫ বছর পর তোমার সাথে দেখা হবে ষ্টার কাবাবে…রোকেয়া সুলতানা চিত্রকে নিয়ে গেলো প্রিন্ট করবো বলে..অনেক ড্রাই পয়েন্ট করলাম। আমার দায়িত্ব ছিল বারো হাজার UFO মেইনটেন করার। এইজন্য YODA আমাকে চিঠি লিখলেন , সিলিন যেন নাক দিয়া সিগারেট না খায় ডাইল না খায় ..কিন্তু কে শুনে কার কথা.. YODA কে বললাম আর টু ডি টু আমার সংগে , ওরা জীনাতের ডিউটি তে আছে ,হলোগ্রাফে জীনাতের ঠিকানা পাওয়া গেলো। বনানীতে জিনাতের গ্যালাক্টিক স্টেশন। আমি ছিলুম তখন কসমিক চুইংগাম কিনার মতো একমাত্র লোক। জীনাত বললো ইউ আর গুড উইথ ওয়ার্ডস , হ্যান্স সোলো পাশের রুমে মারিয়া callas এর সাথে কফি খাচ্ছিলো , জীনাত এর সাথে দেখা হলো the ম্যান who ক্যান সেলেব্রেট হিস own ডেথ একোর্ডিং টু the লেমন ক্লক, পেইন্টিংটার সাথে, জীনাত আর আমি নিজেদের খুঁজে বের করলাম YODA র দেয়া একটা হলোগ্রাফিক মেটাফিজিক্স এর মাধ্যমে। ..এবাদুরের দাস ক্যাপিটাল আমাকে দিয়া শুরু হলো , শেষ হলো ভেনিস এর একটা ক্যানালের পাশেই, ভেনিসের দুঃখী আত্মারা চারিদিকে ঘুরছিলো। ..সেলেস্ট আমাদের সাথে ছিল, Shakespeare একটা গোন্দলা থেকে বললো, মনে করো ইটা একটা হলোগ্রাফ ,জীনাত কে ফোন দিয়া বললুম আমার জন্য লিচু পাঠাও ,আব্বার সাথে অনেক দিন আগেই আমার দেখা হলো । ..একদিন HANS সোলো চলে গেলো অন্য ডিমেনশনে, ,পোর্টাল ব্রেক। আমি মারিয়া CALLAS কে ফোন করে সব এক্সপ্লেইন করলাম,.. একদিন উত্তরায় অনেক ঝড় বৃষ্টি , একজন আসলো ভালোবাসায় , রাজু বললো বিরিয়ানি আনো.. এলেভেনথ ডাইমেনশন থেকে কিছু এলিয়েন আমাদের জ্বালাচ্ছিলো , জীনাত ওদের বিদায় দিলো ..রাজুর পোর্টাল ওপেন হলো এপোলোতে,…রনি আহম্মেদের নূর ই মুহাম্মদ এক্সিবিশন এ আপনাদের আমন্ত্রণ ।

মন্তব্য করুন

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  পরিবর্তন )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  পরিবর্তন )

Connecting to %s