৯ নাম্বার বাস একটি ‘নিরপেক্ষতার সূক্ষ্ম ভান’কারী ইকো-ফেমিনিস্ট-এনার্কো-সোস্যালিস্ট-এন্টি-পোস্টমডার্নিস্ট পোস্টমডার্ন ম্যাগ। এইটা লোকাল বাস, ফলে গেইটলক তথা রুদ্ধদুয়ার নয়। আপনেগো যে-কোনো কিসিমের লেখা আমাদের ঠিকানায় (noynumberbus@gmail.com) পাঠাতে পারেন। হেল্পারদের লগে বনিবনা হইলে প্রকাশিত হইবে। এই আমাগো কথার ‘আমা’ হয় ‘হেল্পার’। আমরা অর্থাৎ হেল্পাররা মোটেও চালক নই, চালক তো ‘ওস্তাদ’। আমরা হেল্পারি করি। জ্ঞান-চিন্তা-পড়া-লেখার দুনিয়ায় আমরা এস্টেরিক্স না, ওবেলিক্স না, ভাইটালস্ট্যাটিসটিক্স তথা বিশালাকৃতিক্সও না; আমরা শিক্ষানবিক্স(মেইবি ওয়ান্নাবি উত্তরাধুনিক্স-ও)। পড়বার চাই, লিখবার চাই, হাত মকসো করবার চাই, আঠ-কালচার বুঝবার/করবার চাই(চামে যুদি বিপ্লব হইয়া যায়, তাহাও করবার চাই), বিপরীত-লিঙ্গ(বা সম-লিঙ্গ, ইফ ওয়ান ইজ নট স্ট্রেইট)কে আকর্ষণ করবার চাই ইত্যাদি। এজ বাঁচতে হলে জানতে হবে, সো উই ওয়ান্না নো বেইব, যে কেন আইসি, কই যামু, কী করিতে হইবে(পাঠান্তরে, কী করতে হবে), শিল্প-সাহিত্য-জ্ঞান-দর্শন খায়-না-পিন্দে, তেনারা এবং উহারা কুন চাইলের ভাত খান বা খায়, বা আদৌ খায় বা খাইতে পারে কিনা ইত্যাদি। আমরা যুদি ওস্তাদগো লেখা পাই( ওস্তাদ ইন বোথ সেন্স – ‘আপনারে বলে’ এন্ড অর ‘লোকে যারে বলে’), বা নন-ওস্তাদ শিক্ষানবিশ হেল্পারগো লেখা পাই, তো বাস চলে। নয়তো বিলুপ্তি।

এই কেন্দ্র প্রান্তের শাস্তরখান শুইন্না একখান ঘটনা আর তার পরকালের আরও আরও ঘটনা মনে অইয়া গেলো। অনুমান বছর দেড়েক আগে একটা ইংরেজী উক্তি যেখানে একটা মরা শরীর (নগ্ন) উপুড় হইয়া পইড়া আছে আর তদন্তকর্তা স্থানীয় পুলিশকর্তাকে বলছে , এই পাশে কোন আঘাতের চিন্হ নাই, শরীরটা উপুড় হয়ে আছে, চিৎ করো, দেখি ওপাশে আছে কি নাই”। তো আমার দায়িত্ব ছিলো অনুবাদ কর্মের । আমি ওইহানে ” চিৎ” শব্দটা ব্যবহার করছিলাম। তাতে আমার তৎকালীন অধিকর্তা আমাকে “অশ্লীল” শব্দ ব্যবহারের দায়ে অভিযুক্ত করেন। এ নিয়ে ব্যাফক লেকচার দেন। এইহানে একটা কথা বলা ভালো, মরা শরীরটি একটি নারীর। আমি কয়েক দফা “কেন চিৎ শব্দটা অশ্লীল” জানতে চাওয়ায় বেজায় নাখোশ হয়েছিলেন তিনি। তিনি বিশিষ্ট কবি, বিনোদনমুলক গণমাধ্যমের বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁর মুখনিসৃত বানী ” অমৃত সমান”। আমি কোন আবাল না বাল থুক্কু কোন ছার।আমার জানা মতে উপুড়ের বিপরীত শব্দ চিৎ, সেটা নারী-পুরুষ, মানুষ-অমানুষ, জীব-উদ্ভিদ, বই পুস্তক, চেয়ার টেবিল, খুন্তি-কড়াই, কোদাল-ধামা, সবার জন্যই হতে পারে।
এরপরও এই নরাধম আমি একই ধরনের কর্মে নিযুক্ত আছি। অনুবাদ, আধা অনুবাদধর্মী কাজ করছি। অধিকর্তা পরিবর্তন হইছে। কিন্তু পরিস্থিতি না। অনেক বাংলা শব্দ বা বাংলভাষায় অতি ব্যবহৃত বিদেশী শব্দ শুধুমাত্র অব্যবহারের কারণে এখন প্রান্তিক থেকে মহাপ্রান্তিক জায়গায় যাইতাছে গা। হেগোরে লিখলে মন্তব্য হয় এমন, বাংলা ঠিক আছে কিন্তু শুনতে কেমন যেন বেখাপ্পা লাগছে।
এই বেখাপ্পা শব্দটা বেশ চলছে বাংলায়। এইডাই হয়তো বেখাপ্পা লাগে না। যেহানে বাংলা বেখাপ্পা লাগে সেইহানে ইংরাজীটা কিন্তুত খাপে খাপে মিল্লা যায়। আমাদের অজস্র টিভি চ্যানেল গুলোর কথা নির্ভর অনুষ্ঠানমালা দেইক্খাই সন্দেহাতীত ভাবে এই কতা কউন যায়। এক চলন্ত (নামন্ত) সিড়ি দিয়ে ব্যাপক হারে বাংলাভাষার ব্যবহারিক শব্দ তলদেশে যাইতাছে আর আর এক চলন্ত (উঠন্ত) সিড়ি দিয়া ইংরাজী শব্দ ব্যবহারিক বাংলায় পরিণত হইতাছে। উঠা আর নামার আনুপাতিক হার বেশ চিন্তাময় না আংশঙ্কাময় দ্যাটস আ বিগ কোশ্চেন।
LikeLiked by 1 person
বড়োই চিন্তার বিষয় কইলাইন কিন্তু! হউম্মম্মম্ম
LikeLiked by 1 person
শুরু যখন হইছে , তখন চলুক ।
LikeLiked by 1 person
কোন পাগলের দেশে আসলাম!
তবে পাগলের দেশই ভাল। পাগল হইলেও এরা মানুষ ভাল। প্যাঁচ কম।কিছু বলে ফেললে টেনশন লাগেনা, কে কি মনে করল।
মহসিন কে দেখতেসিনা। সে কি” মানুষ” হইয়া গেসে?
LikeLiked by 1 person