মুদ্রা
গান
আদিম গানের ভেতর পুষে থাকা আগুনেরা গান গায়; দুর্বৃত্ত ঘোড়ার খুর—
মুহুর্মুহু। ফুলেদের ঝরে পড়বার ছন্দে কানখাড়া পাখিগুলো ঠোঁটে করে ধার।
আড়ি পাতা শামুকেরা নৈসর্গে গড়ে ক্রমাগত সংসার।
অবতরণ
হাত উচিয়ে দাঁড়ানো ছায়াগাছ— দু’টো তৃষ্ণা-ডাহুক সমস্ত বুক
জুড়ে ঝুলে হাসে। নিকষ আঁধার; মুহুর্মুহু সুর করে ডাকে,
ছায়াহীন— মানুষের হৃদযন্ত্রে প্রচণ্ড ক্ষুধা কাঁদে। অন্ত্রের নীচে
হারিয়ে গিয়েছে আরো ক’টি মৃত হৃদয়ের শ্বাস।
.
ঢেউশব্দ বুকে গুঁজে পাহাড় ঘুমিয়ে থেকে দ্বিধাহীন; মৃত্তিকা
উদরে অনন্ত জমা হয় ফেলে যাওয়া পালক, দীর্ঘ পাখির—
হাড়।
মানুষ; হৃদয়ে অস্তিত্বের নড়াচড়া। পৃথিবী আদলে উপরে
ওঠার বাসনা। মৃৎশিল্পের মত মৃত জীবন বয়ে বয়ে মানুষ
ওপরে উঠে নীচে নেমে যাচ্ছে দ্রুত।
খেলা
আমাদের সমস্ত উপেক্ষা জুড়ে পাখি; গাছের ডালের দিকে চেয়ে ভেবে নিচ্ছে হাওয়া।
বেআবরু সবুজঘেরা পথে অপেক্ষার দৃষ্টিগুলো ডায়েরিতে নোট হয়ে গেছে। কাঁপন,
কাঁপন— শীতের শালের মধ্যে বসে আছে দু’টো খরগোশ; খপ করে ধরে নিচ্ছে
দক্ষ শিকারি। সমূহ মগ্নতা নিয়ে দু’জন প্রেমি যৌনতার খেলা করে নীরব লেকের
কোলে, শিকার হয়ে যাওয়া ছায়া মাথা রাখে শিকারির বিউগলে।
নেকড়ে দৃষ্টি নিয়ে ফেরারিরা চলাফেরা করে। ওপাশ থেকে ওঁদের প্রচণ্ড শীত করে—
অন্ধকারে ওঁরা উষ্ণ হয় কল্পিত শীৎকারে।

[ পাঠান জামিল আশরাফ – মানুষ। কথা, বলেন, লেখেন। ভাষা – বাংলা। – নয় নাম্বার বাসের হেল্পারগণ ]