~ ১,২,৩
১.
দাগায়ে এক
পাগলা পান্না চোখ,
পরবো কানে।
২.
একটা সাদা দেয়ালে
গমের রুটির ঘড়িতে
সারাদিন সাতটা বাজে।
৩.
এডওয়ার্ড হপার সজারুটা নিয়ে পুরো বিকাল লাল বেঞ্চের উপর বসে থাকবে।
~ থিওরেটিকাল ফিজিক্স
রাত্তিরে খিধে লাগলে আমার মনে পড়ে
ট্রাজেডির কথা ধপ করে যে রাইসকুকারটা নষ্ট হয়ে গ্যালো!
আমি তোমারে কইলাম কয়েকটা অনুভূতি আঁকবা!
ধরো একটা গাছ বিষন্নতার ঠ্যালায় ঠিকরায়ে বাইর হয়ে আসতেছে।
একটা জরায়ু টলতে টলতে পঁ্যাচায়ে গ্যালো
কিংবা তোমার ফুফুর হারমনিয়ামের উপরে ফ্যানে বাড়ি খাওয়া চামচিকা টুকরোরক্তাক্ত হয়ে ছিটকায়ে পরলো।
তুমি সেদিন বললা তোমার সেল্ফ পোট্রেট আঁকতেছো।
তোমার অনুভূতি একটা পিরানহা মাছের কাছে জমা দিতে দিতে হঠাৎ একটা আত্মগত পরাণরে দিয়ে দিলা।
তুমি কি কথা বলো?
তুমি কি ঘর দ্যাখো?
তুমি কি বাঁচো থিওরেটিকাল ফিজিক্স?
~ মানুষরাশি
আমার ভাই বোতলের ফ্যাক্টরি তে কাজ করে,
সে প্রায় ই আমারে বোতল বানানোর গল্প বলে।
আমার তখন প্রতিটা বোতলকে মানুষের মতন লাগে।
হঠাৎ দুপুর ব্যালা কড়া রোদের মধ্যে একা আর কয়েকটা বিড়াল নিয়ে হাইটা যাইতে যাইতে ওদের এইসব শুনাইতেছিলাম, রোদ গায়ে লাগলেই আমার জরাথ্রুস্টের কথা মনে পড়ে যায়।
আমার রোদের জরাথ্রুস্টের এক অবিলম্বিত সম্পর্ক আছে, আমরা কোথাও হাতড়াইতে যাইতে পারিনি
শুধু মানুষ ভালোবাসছি।
এখন একটু একটু করে রোদ সরে যাবে বিকাল আসবে তখন আমার মনে হবে আরে বিড়ালগুলোও কি মানুষ!
~ শিরিষ আমার
শিরিশ আমার বেড়াইতে যাইতে ইচ্ছা করেনা কোথাও।
পুরো দুনিয়াটা দেখে ফেলেছি তবু ভাণ করে যাইতে হয়
কি মিথ্যা কি মিথ্যা জেস্চারে ভরায়ে রাখি আমরা নিজেদের
ছিটকা পরাণ থেকে আত্মনির্ভরতা জন্মায় নাকি!

শ্রবণা শফিক দীপ্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ছাত্রী। আগ্রহ ঘুরাঘুরি, দেখা, লেখা এবং ছবি তোলায়।