ঐ খেদে খেদ করি মাগো / এবাদুর রহমান

কারুবাসনায় নষ্ট-ভ্রষ্ট হয়ে যাওয়া না-মানুষ গুলা অমিতাচারী আর স্বার্থপর!
অন্যের মান অভিমান উষ্মার খ্যাতাপুড়ি যজ্ঞ কইরাই,
তাঁরা আত্মহননের উন্মাদনায়, নিজেকে জ্বালায়, গন্ধবিধুর ধুপ করতেসেন বা করতেসেন না।
ইদানিং খুব শুনি “ভালো লেখক হইতে হলে ভালো মানুষ হইতে হবে আগে।”
ওরে বাঙ্গিদোচা, তোর গুখোর ম্রা খাওয়া মরালিটি দিয়ে তুই রেপিস্ট টলস্তয়কে মাপবি, মাগ বাড়ি যাওয়া বোদলেরকে মাপবি, ক্রীতদাস ব্যবসায়ী আর্তুর র‍্যাঁবোকে মাপবি!
শিল্পী সন্ত ও দুর্জ্ঞেয় পাপী; তিনি ভালোবাসেন ও ঘেন্না করেন।
সমস্ত অদৈব, বিভাজন, দৈত্বতা, বিষ, অবজ্ঞা, অবহেলা শরীরে নিয়ে, গিরিখাতের ওপর টান টান করে বাঁধা রজ্জুর ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া মাদারির মতো বাঁচার আতঙ্ক ও স্নায়ুক্ষয় তুমি বুঝবা কিসু, সাকিব আল হাসানের ফ্যান সম্প্রদায়?

undefinedundefined
লিঙ্গ সোজা রেখে সমস্ত প্রচলকে চাবুকপেটা করার স্পর্ধার মারাত্মক যে শাস্তি সমাজ দেয়, তোমার সেইটা বোঝার সূক্ষ্ম সেন্সিবিলিটি আসে, ঋত্ত্বিক ঘটকের পূজারীরা?
প্রতিদিন উঞ্ছবৃত্তির গ্লানি, গেরস্তদের কাছে হওয়া অপমান গিলে গিলে বাঁচার অসহনীয় ভার–কে বুঝবে?
কেউ না রে পাগলী– এই দেবোত্তর সম্পত্তি শুধু আমাদের, শুধু আমাদের।
গেরস্ত সমাজ, তোমরা ঘেটুপুত্র নজরুলের উপর লেখা প্রবন্ধ পড়ো।
তোমরা ঈদের নাটক দেখতে দেখতে দীর্ঘ শ্বাস ফেলো যে, হুমায়ুন আহমেদ আর আমজাদ হোসেনের নাটক ছাড়া সব কেমন আধুরা লাগতেসে।
এদিকে, আমরা নিজেকে ধার দিতে দিতে কুঠার করে তুলতেসি,
একদিন কোপায় নিজেরেই টুকরা টুকরা কইরা তোমাদের সাধের ব্যঞ্জন রাইন্ধা খাওয়াবো বইলা।
আর, আমার কালো, রসালো রিদয়ে প্রথম কামড় দিয়ে, মিষ্টি রক্তে যখন মুখ ভরে যাবে, তখন উইস্কিতে মুখ ধুয়ে ফেললেও, আমাকে ভুলতে পারবা না–আমি তোমার দখল নিয়ে নিসি, হা হা, আমি জিতে গেসি, ইয়ো!
“ঐ খেদে খেদ করি মাগো
ঐ খেদে খেদ করি আমি”
তামাম সুদ!

১ জুন ,২০২০


undefined এবাদুর রহমান । লেখক , ফিল্ম-নির্মাতা , আর্ট-কিউরেটর ও তত্ত্বকার ।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান